১৬ বছরের ওই ছাত্রী সহসপুরের ওই স্কুলের হস্টেলে তার বড় বোনের সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করত। স্কুলের মধ্যেই তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে অথচ কেউ নাকি কখনও কিছু বুঝতেই পারেননি। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন জানা যায়, সে গর্ভবতী। তার গর্ভপাতেরও চেষ্টা করে অপরাধীরা। স্থানীয় সহসপুর পুলিশ ধর্ষণ ও তা গোপন করার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে স্কুলের ডিরেক্টর ও প্রিন্সিপাল সহ ৯ জনকে। ধৃত ৪ ছাত্রও অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে জানা গিয়েছে। উত্তরাখণ্ড শিশু কল্যাণ দফতরের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
১৪ অগাস্ট ঘটে এই গণধর্ষণ। ইন্টার ও হাইস্কুলের দুই ছাত্র হাইস্কুলের ওই ছাত্রীর ওপর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মেয়েটি তার দিদিকে সব কথা খুলে বলে। দিদি সে কথা জানায় প্রিন্সিপালকে। অভিযোগকারিণীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জানা যায়, সে গর্ভবতী। এরপর প্রিন্সিপাল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ওই ছাত্রীর গর্ভপাতের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। কিন্তু মেয়েটি সব কথা জানায়, দুনের বাসিন্দা তার কাকিমাকে। রবিবার দুনে পৌঁছন তার আত্মীয়রা। খবর যায় পুলিশে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, স্কুল প্রশাসন ওই ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে গর্ভপাতের চেষ্টা করে। মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা।