কলকাতা: বর্ষবরণের রাতে গণধর্ষণের অভিযোগ দুই জেলায়।
উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে ঘরে ঢুকে মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল ৫ জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণী জানান, ৫ মত্ত যুবক দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপর চড়াও হয়। দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হন বাড়ির প্রৌঢ় মালিক। মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
বারাসাতের এক শপিংমলের কর্মী এই মহিলার দাবি, ওই মত্ত যুবকদের বাধা দিলে বাড়িওয়ালাকেও মারধর করা হয়। গতকাল দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। এখনও পর্যন্ত রতন দাস ওরফে তোতা, সৌগত সরকার ও মৃণাল বিশ্বাস নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত রতন দাস বামনগাছির সৌরভ চৌধুরীর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরে এক মহিলাকে দু'বার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল বর্ষবরণের রাতেই। ঘটনাটি কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকার। রাতে হোটেল থেকে বাড়ি ফেরার সময় গণধর্ষিত হন এক মহিলা।
জানা গেছে, কর্মসূত্রে ভিন্ রাজ্যে মায়ের সঙ্গে থাকতেন ওই মহিলা। কাজ করতেন স্থানীয় একটি হোটেলে। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে হোটেল থেকে ফেরার পথে, তাঁকে জোর করে নির্জন জায়গায় টেনে নিয়ে মদ্যপান করায় দুই দুষ্কৃতী। এরপর মহিলাকে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। অভিযোগ, এরপর ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়, গাড়ি থেকে নেমে দুই যুবক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ফের গণধর্ষণ করে। নির্যাতিতা বর্তমানে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল কালিয়াগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক।