নয়া দিল্লি : এক টাকা সঞ্চয় করা এক টাকা উপার্জনের মতোই । এমনটাই বলে থাকেন অর্থনৈতিক পরামর্শদাতারা। এক পরামর্শদাতা সঞ্চয়ে উৎসাহ দিতে বলেন, সঞ্চয় খুব বেশি কষ্টকর বা বিরক্তিকর নয়। তবে, কখনো কখনো আপনাকে গতানুগতিকতার বাইরে ভাবতে হবে। আপনার চারপাশের মানুষের কাছ থেকে ইতিবাচক আইডিয়া নিতে পারেন। সম্ভাবনা অসীম।


করোনা অতিমারিতে বিশ্বের একটা বড় অংশের মানুষের রোজগার বা আয় কমে গেছে। অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। সংকটজনক এই পরিস্থিতিই ব্যক্তিগত আর্থিক ব্যবস্থা গোছগাছ করে নেওয়ার একটা সুযোগ এসেছে, বলছেন অর্থনৈতিক পরামর্শদাতারা। কঠিন এই পরিস্থিতিতে অনেকেই নিজেদের খরচ-খরচা নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। কী করে সঞ্চয় করা যায়, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছেন। অনেকে আর্থিক লক্ষ্যও ঠিক করতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে একাংশ বিশেষজ্ঞ সঞ্চয়ের উপায় বাতলে দিচ্ছেন। দেখে নিন সেই পদক্ষেপগুলি...


১. শপিংয়ের সময় ঠিক করে নিন


সাধারণত অধিকাংশ মানুষই কয়েকটি জিনিস কিনতে কোনও স্টোরে যান বা শপিংয়ে। কিন্তু, যখন বের হন দেখা যায়, পরিকল্পনার অনেক বেশি শপিং করে ফেলেছেন। কিন্তু জেনে রাখা দরকার, যে কোনও স্টোর সেভাবেই সুসজ্জিত করে তোলা হয় যাতে আপনি আরও শপিং করেন। বিশেষ করে মুদি ও রিটেলের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয়। তাই শপিংয়ের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন। অতিরিক্ত শপিং করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।


২. শপিং-শখকে না বলুন


শপিংয়ের অন্যতম কারণ একঘেয়েমি কাটানো। দ্রুত বদলাতে থাকা এই পৃথিবীতে নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য অনেকে কোথায় কোথায় ঘুরতে যেতে হবে তার তালিকা তৈরি করে ফেলেন। যার মধ্যে থাকে শপিংও। কার্যতে শখে পরিণত হয়ে ওঠে শপিং। কিন্তু, নিজেকে প্রশ্ন করুন, এমন অনেক জিনিস যা আপনি কিনছেন তার কি আদৌ কোনও দরকার আছে আপনার ?


৩. ক্যাশ-ব্যাক শপিং পোর্টাল ব্যবহার করুন


বিনিয়োগ-উপদেষ্টারা বলছেন, খুব সাধারণ অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে অনেকটা সঞ্চয় সম্ভব। ক্যাশ-ব্যাক শপিং পোর্টাল ব্যবহার করুন। যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কেনাকাটায় অনেকটাই সঞ্চয় করতে পারবেন। একাধিক ক্যাশ-ব্যাক শপিং পোর্টালে সাইন আপ করুন।


৪. টাকা বেরিয়ে যাওয়া আটকান


যে কোনও কেনাকাটার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আদৌ কি আপনার সেটা প্রয়োজন আছে। এব্যাপারে নিজের কাছে সৎ থাকুন। তাতে দেখবেন অনেক অকারণ অপচয় ঠেকানো যাবে। 


৫. মিল-প্ল্যান করুন


অনেক সময়ই আমরা রেস্তোরাঁয় খেয়ে বা ডেলিভারির খাবার খেয়ে অতিরিক্ত খরচ করে ফেলি। প্রতি মাসে এধরনের খরচে রাশ টানতে হবে।


৬. প্রয়োজনীয় কেনাকাটার তালিকা তৈরি করে নিন


কী কী জিনিস আপনার প্রয়োজন তার একটা পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে নিন। সেগুলির দাম কত, কোন ব্রান্ড প্রয়োজন- এব্যাপারে আগে থাকতে পরিকল্পনা করে নিন। তাতে খরচের ব্যাপারে আগাম ধারণা তৈরি হয়ে যাবে।