নয়াদিল্লি: গোয়ায় তৃণমূলের গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পকে তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেসের।


‘ক্ষমতায় এলে গোয়ায় সাড়ে ৩ লক্ষ গৃহকর্ত্রীকে মাসে ৫ হাজার টাকা। তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বছরে ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। ২০২০-র মার্চ পর্যন্ত গোয়ার ঋণের বোঝা ২৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা। এই অঙ্কের জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্য। ঈশ্বর গোয়াকে রক্ষা করুন।’ ট্যুইটে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেস সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের।


পাল্টা জবাব মহুয়া মৈত্রর। চিদম্বরমকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল সাংসদ ট্যুইটে লেখেন, ‘মাননীয় চিদম্বরম, গোয়ার সাড়ে ৩ লক্ষ পরিবারকে ৫ হাজার টাকা অর্থাৎ যা রাজ্যের মোট বাজেটের ৬-৮ শতাংশ। যা বাস্তবায়িত করা সম্ভব। কোভিড-পরবর্তীকালে মানুষের হাতে নগদ টাকার জোগান সুস্থ অর্থনীতির লক্ষণ।’


এদিকে, গৃহলক্ষ্মী প্রকল্প ঘোষণার পরদিনই তিনদিনের গোয়া সফরে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে গোয়া যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। জোরকদমে চলছে প্রচার, যোগদান কর্মসূচি। এই আবহে গোয়ায় তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী। তাঁর প্রথমবারের সফরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ ও অভিনেত্রী নাফিসা আলি। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও এনসিপি-র বিধায়ক আলেমাও চার্চিল-সহ একাধিক হেভিওয়েট। 


‘দুয়ারে সরকার’ থেকে শুরু করে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, গত বিধানসভা ভোটে এই সব প্রকল্পগুলিই ডিভিডেন্ট দিয়েছে তৃণমূলকে। এবার বাংলার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের আদলে গোয়ায় ‘গৃহলক্ষ্মী কার্ড’ প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দিল তৃণমূল। বাংলায় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে ২৫ থেকে ৬০ বছরের মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি হলে মাসে মেলে ১ হাজার টাকা। কিন্তু গোয়ায় ক্ষমতায় এলে ‘গৃহলক্ষ্মী’ প্রকল্পে প্রত্যেক গৃহকর্ত্রীকে মাসে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মতোই এক্ষেত্রেও টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। এই প্রকল্পকেই কটাক্ষ করল কংগ্রেস।