ফ্রাঙ্কফর্ট (কেনটাকি): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) ৬ প্রদেশে টর্নেডোর (Tornado) হানা। ৩২০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ায় লন্ডভন্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একাংশ। মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কেনটাকি প্রদেশ (Kentucky)। টর্নেডোর তাণ্ডবে সেখানে অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে খবর, মেফিল্ডের একটি মোমবাতি কারখানায় ১১০ জন কাজ করছিলেন। টর্নেডো আছড়ে পড়ায় বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়। মাইলের পর মাইল এলাকাজুড়ে তাণ্ডব চালায় ঝড়। কেনটাকিতে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। আরকানসাসের মনেটে উড়ে গিয়েছে নার্সিংহোমের ছাদ। ইলিনয়ে ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত। টর্নেডোর দাপট দেখা গিয়েছে টেনেসি ও মিসৌরিতেও।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘আজ সকালে আমি মধ্য আমেরিকায় টর্নেডার তাণ্ডবের বিষয়ে বিস্তারিত খবর নিয়েছি। এই ধরনের ঘূর্ণিঝড়ে প্রিয়জনদের হারানো অভাবনীয় শোকের। আমরা গভর্নরদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছি। যাঁরা ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন, তাঁদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। টর্নেডোর ফলে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়েও খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে।’


মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, ‘যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাংশ বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে, সেটি আমাদের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড়গুলির অন্যতম হতে পারে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা এখনও জানি না মোট কতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য যা করা দরকার, সবই করব। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এরকম ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে কি না বলতে পারব না। পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক সংস্থাকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলব। তবে আমরা সবাই জানি, বিষ্ণ উষ্ণায়নের প্রভাবে এখন সবকিছুই আগের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। ঝড়ের উপরেও এর প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমি এখনই এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারব না। এখন উদ্ধারকার্যের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি কেনটাকি সহ ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলি পরিদর্শনে যাব।’