নয়াদিল্লি: স্পেকট্রামের নিলামের সুদের অর্থ, স্পেকট্রামের বকেয়া অর্থ মেটাতে না পেরে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে প্রায় ৩৬ শতাংশ শেয়ার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভোডাফোন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর সংস্থার যা বকেয়া আছে, তা ইক্যুইটিতে রূপান্তরিত করার পর সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৩৫.৮ শতাংশ শেয়ার। ভোডাফোন গ্রুপ পিএলসি-র হাতে থাকবে ২৮.৫ শতাংশ শেয়ার। আদিত্য বিড়লা গ্রুপের হাতে থাকবে ১৭.৮ শতাংশ শেয়ার। 







২০১৬ সাল থেকেই ভোডাফোনের আর্থিক অবস্থা বেশ খারাপ। ভারতের টেলিকম মার্কেটে জিও-র প্রবেশ ভোডাফোনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। জিও আত্মপ্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই দেশের এক নম্বর টেলিকম অপারেটর হয়ে উঠেছে। সেখানে ভোডাফোনকে এখন অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই চালাতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভোডাফোনকে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে শেয়ার তুলে দিতে হচ্ছে।


গত কয়েক বছর ধরেই আর্থিক লাভ হচ্ছে না ভোডাফোনের। অনেক গ্রাহকই এই সংস্থার সংযোগ ছেড়ে দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ভোডাফোন গ্রুপ ও কুমার মঙ্গলম বিড়লার যৌথ মালিকানাধীন সংস্থা। বাজারে টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়েই তারা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে শেয়ার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।


শেয়ার বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভোডাফোন আইডিয়া সংস্থার এই পদক্ষেপ কিছুটা অপ্রত্যাশিত। কারণ, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার রিলিফ প্যাকেজ ঘোষণার পর ভোডাফোন আইডিয়ার হাতে নগদের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। এরপর এই সংস্থা তহবিল গড়ার জন্য একটি নতুন পদক্ষেপের পথে হাঁটবে বলেও মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে সরকারের হাতে শেয়ার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভোডাফোন আইডিয়া। এর ফলে সংস্থাটি ভারতের টেলিকম মার্কেটে টিকে থাকবে। তবে সরকারের হাতে বেশি শেয়ার থাকার ফল কী হবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে টিকে থাকতে হলে ভোডাফোন আইডিয়ার গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতেই হবে।