নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের চিকিতসা করা ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের সুরক্ষায় একটি অর্ডিন্যান্সও নিয়ে এল, যার লক্ষ্য ডাক্তার, চিকিত্সাকর্মীদের ওপর হামলার অবসান ঘটানো। তাঁদের ওপর হামলা হলে দোষীর ৬ মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত কারাবাসের বিধি রয়েছে অর্ডিন্যান্সে।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জাভরেকর বলেন, করোনাভাইরাস অতিমারীর কবল থেকে দেশকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তাঁদের ওপর আক্রমণ চলছে। তাঁদের ওপর কোনও ধরনের হামলা, হেনস্থা, হয়রানি বরদাস্ত করা হবে না। অর্ডিন্যান্স এসেছে, যেটি রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর চালু করা হবে।



দেশের নানা শহরে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে খুঁজে বের করে তাঁদের কোয়ারেন্টিন করা, তথ্য সংগ্রহে যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের স্থানীয় মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে, মার খেতে হচ্ছে। এমন বেশ কিছু ঘটনার পর ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, দেশব্যাপী ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতীকী প্রতিবাদে সামিল হবেন। তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে সুরক্ষাও দাবি করেন। বুধবার তিনি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ডাক্তার সমাজ বিশেষতঃ আইএমএ-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তার ব্যাপারে ভরসা দেন। তারপর প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি তুলে নেন ডাক্তাররা। এ কথা জানিয়েছে আইএমএ। তিনি ২২ ও ২৩ এপ্রিলের ওই কর্মসূচি থেকে সরে আসতে আবেদন করায় সাড়া দেয় আইএমএ।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেবামূলক ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, যেভাবে এই কঠিন অগ্নিপরীক্ষার সময় আমাদের চিকিত্সকরা তাঁদের দায়িত্ব, কর্তব্য পালন করছেন, তা নজিরবিহীন। প্রতিটি ভারতীয়কে কোভিড১৯ এর বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে সহযোগিতার আবেদন করছি। সরকার ডাক্তারদের পাশে আছে বলেও আশ্বাস দেন।