নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীদের প্রবল বাধায় রাজ্যসভায় তিন তালাক বিল নিয়ে সোমবার কোনও আলোচনাই হল না। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ আজ সংসদের উচ্চকক্ষে মুসলিম মহিলা (বিবাহ সংক্রান্ত অধিকার রক্ষা) বিল, ২০১৮ পেশ করেন, সরকার বিলটি নিয়ে আলোচনার দাবি করে। কিন্তু বিরোধীরা এককাট্টা অবস্থান নেয় যে, বিলটি অর্থাত্ খসড়া আইনটি খতিয়ে দেখার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে হবে। এ নিয়ে সরকার, বিরোধী টানাপড়েনে রাজ্যসভায় সারাদিন কোনও উল্লেখযোগ্য কাজই হয়নি। এই ইস্যুতে সারাদিনের মতো সভা মুলতুবি হয়ে যায়।
বিলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি আরও পরীক্ষা করে দেখার দরকার আছে বলে সওয়াল করেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ, দাবি করেন যে, বিভিন্ন দলের অর্ধেকেরও বেশি সদস্য বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর পক্ষপাতী। আইনে পরিণত হওয়ার আগে বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর পুরানো রীতি সরকার ভাঙছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পাল্টা সংসদীয় বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় গোয়েল জানান, সরকার বিল নিয়ে আলোচনায় তৈরি। কংগ্রেস বিলটি পাশ হওয়ার পথে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি, এও বলেন, কংগ্রেস কিন্তু আগে বিলটি লোকসভায় সমর্থন করেছে। কংগ্রেস ও অন্য দলগুলির বিরুদ্ধে এ নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, বিবাহিত মুসলিম মহিলাদের স্বার্থ, অধিকার সুরক্ষায় বিলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাল্টা রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সহকারী নেতা আনন্দ শর্মা অভিযোগ করেন, সরকারই রাজনীতি করছে। কেউই বিলের বিরোধিতা করছে না। সংসদীয় স্ক্রুটিনি হোক। সরকার মানুষকে বিপথে চালাচ্ছে। বিলটি লোকসভায় সংসদীয় স্ক্রুটিনি ছাড়া অনুমোদিত হয়ে থাকলে সিলেক্ট কমিটিতে না পাঠিয়ে রাজ্যসভায় তা পাশ করানো উচিত নয়। কারণ রাজ্যসভা রাবার স্ট্যাম্প নয়।
জবাবে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, বিলটি খুবই জরুরি। আমরা এখানে বিল নিয়ে আলোচনা চাই, যে কোনও প্রস্তাব শুনতেও তৈরি। অর্ডিন্যান্স জারি হওয়ার পরও তিন তালাক দেওয়ার ঘটনা হয়েছে কাল পর্যন্তও। প্রশ্নটা লিঙ্গ সাম্যের। আমরা আলোচনা করে বিলটি পাশ করাতে চাই।
ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ বলেন, আমি সভা চালাতে চাই। কাল ছুটির ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছে। তাহলে আজ অন্তত সভা চলতে দিন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সভায় শোরগোল অব্যাহত থাকায় তিনি সভা দিনের মতো মুলতুবি ঘোষণা করেন।