নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার আট-সদস্য বিশিষ্ট লোকপাল সার্চ কমিটি গঠন করল কেন্দ্র। এই কমিটির কাজ হল, লোকপালেক চেয়ারপার্সন ও সদস্যদের নাম প্রস্তাব করা।
সার্চ কমিটিতে প্রাক্তন বিচারপতি ছাড়াও রয়েছেন-- স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন অরুন্ধতী ভট্টাচার্য, প্রসার ভারতী চেয়ারপার্সন এ সূর্য প্রকাশ, ইসরোর প্রধান এ এস কিরণ কুমার। এছাড়া, সার্চ কমিটিতে রয়েছেন-- ইলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সখারাম সিংহ যাদব, গুজরাত পুলিশের প্রাক্তন প্রধান শাব্বিরহুসেন এ খাণ্ডেওয়ালা, রাজস্থানের প্রাক্তন আমলা ললিত কে পানোয়ার এবং রঞ্জিত কুমার।
এদিন কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ বলেন, লোকপাল আইনের নিয়ম মেনেই এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই সার্চ কমিটি তার কাজ শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইন পাশ হওয়ার চার বছর পর এই সার্চ কমিটি গঠিত হল। ২০১৩ সালে কেন্দ্রে লোকপাল এবং রাজ্যগুলিতে লোকায়ুক্ত গঠন করার জন্য আইন পাশ করা হয়েছিল। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ অন্য একটি দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, লোকপাল আইন অনুযায়ী, নির্বাচনী কমিটির সদস্য হতে পারবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। কিন্তু, লোকসভায় কোনও বিরোধী দল নেই। কারণ, বিরোধী দলের তকমা হাসিল করতে কোনও দলকে অন্ততপক্ষে ৫৫ আসন অথবা ১০ শতাংশ নিজেদের দখলে রাখতে হবে।
কংগ্রেসের সেই শক্তি না থাকায়, তারা বিরোধী দলের তকমা পায়নি। ফলত, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে লোকপাল নির্বাচনী কমিটিতে জায়গা পাননি। যদিও, তাঁকে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, তাতে রাজি হননি তিনি। সরকারের কাছে তিনি আর্জি জানান, অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে এই আইনে বদল এনে তাঁকে পূর্ণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
কিন্তু, সরকার তাতে রাজি হয়নি। যে কারণে, নির্বাচন কমিটির কোনও মিটিংয়ে তিনি হাজির হননি।