নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্যগুলির জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে ৭,৭৭৪ কোটি টাকা জরুরি ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় কাজে লাগানো হবে। বাকি টাকা এক থেকে চার বছরের মধ্যে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবহার করা হবে। করোনা ভাইরাস পরীক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলা, করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা কেন্দ্র, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম, পরিকাঠামো গড়ে তোলা ও উন্নতি এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অতিমারীর মোকাবিলা করার দিকেই নজর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।


সূত্রের খবর, ১০ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কেন্দ্রীয় দল গঠন করা হয়েছে। যে রাজ্যগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেই রাজ্যগুলিকে সাহায্য করবে এই দল। বিহার, রাজস্থান, গুজরাত, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশে গিয়েছে এই দল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক সহ কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যান্য বিভাগগুলির পাশাপাশি রেলমন্ত্রকও করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব অগ্রবাল জানিয়েছেন, ‘ট্রেনের ৫,০০০ কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩,২৫০ কোচ ইতিমধ্যেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ৮০ হাজার অতিরিক্ত শয্যাও দেওয়া হবে। রেলের পক্ষ থেকে ২,৫০০ চিকিৎসক ও ৩৫,০০০ প্যারামেডিক্যাল কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। ৫৮৬টি হেলথ ইউনিট, ৪৫টি মহকুমা হাসপাতাল, ৫৬টি বিভাগীয় হাসপাতাল, ৮টি প্রোডাকশন ইউনিট হাসপাতাল ও ১৬টি জোনাল হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে।’

অন্যদিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে মানিটারি পলিসি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আগে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধি হবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এই চিত্র বদলে দিয়েছে। ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা আসবে বলেই মনে হচ্ছে।’