লন্ডন: যা কিছু বিশ্ব রেকর্ড হয়, তা ভাঙার জন্যই। কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে কারোর আত্মনিবেদন, কঠোর পরিশ্রম ও চরম উত্কর্ষের পরীক্ষার একটা উপায় রেকর্ডগুলি, যা তাদের সর্বোচ্চ সীমায় নিয়ে যায়, যাতে তারা নিজেদেরকে সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
আর এই রেকর্ড সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো দিক হল যে, এক্ষেত্রে পছন্দের কাজে উত্কর্ষ সাধনের কোনও নির্দিষ্ট গণ্ডি নেই। নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে ক্রমাগত অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে রেকর্ডগুলি একটা মাপকাঠি হয়ে দাঁড়ায়।
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের এ ধরনের কাজকর্ম সারা বিশ্বজুড়ে অনেককেই বিভিন্ন ধরনের কাজে উত্সাহ দেয় ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে। তা মস্তক মুণ্ডনই হোক বা এক মিনিটে সবচেয়ে বেশিবার পিং-পং বল ছোঁড়া বা সবচেয়ে বেশি ডিম একের পর এক সাজিয়ে তোলার মতো ঘটনা, অথবা কঠিন পুশ-আপ, যে কোনও ক্ষেত্রেই রেকর্ড গড়া যায়।
অঙ্কেরও ক্ষেত্রেই রেকর্ড গড়া যায়। আর এমনটাই করে দেখিয়েছেন ১০ বছরের শিশু নাদুব গিল।
অঙ্ক বিষয়টাই এমন যে, কারুর খুব পছন্দের, আবার কারুর দেখলেই গায়ে জ্বর আসে। অঙ্ক মানে দ্রুত চিন্তার ক্ষমতা ও সংখ্যা নিয়ে বুদ্ধিমত্তা। কেউ কেউ ভাবতেই পারেন, এতে আবার কী ধরনের রেকর্ড থাকতে পারে!
এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, ভাবুন তো এক মিনিটে শ-দুয়েক অঙ্ক কষে ফেলা। শুধু যে কোনও অঙ্ক নয়, গুণ ও ভাগ।
ব্রিটেনের লং ইটোনের বাসিন্দা শিশুটি এই অভাবনীয় বিষয়টিই করে দেখিয়েছে। এক মিনিট সময়ের মধ্যে সে ১৯০ টি অঙ্ক কষেছে। 'টাইমস টেবিল রক স্টার্স' নামে অ্যাপে গিল তা করে দেখিয়েছে।
গড়ে সে প্রতি সেকেন্ডে কষেছে তিনটি অঙ্ক। বাড়িতে বলে যারা এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল সেই ৭০০ পড়ুয়াকে হারিয়েছে গিল। এটা কিন্তু একেবারেই মুখের কথা নয়। এত সময় সময়ের মধ্য এত কঠিন কাজ করে দেখানোয় শিশুটিকে সাধুবাদ জানাতেই হচ্ছে।