নয়াদিল্লি: ১৫ তারিখ রাতে লাদাখের গালওয়ানে চিনা তাঁবুতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এরপরই মারামারি শুরু হয় ভারতীয় ও চিনা সেনাদের মধ্যে। বললেন প্রাক্তন সেনা প্রধান ও কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিংহ।


১৫ তারিখ গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ হয়। তবে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার চুক্তি থাকায় লড়াই হয়েছিল খালি হাতে এবং পেরেক পোঁতা লাঠি, পাথর দিয়ে। প্রাক্তন সেনা প্রধান বলেছেন, ভারত-চিনের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ে আলোচনা চলাকালীন ঠিক হয়েছিল, কোনও পক্ষের সেনাকর্মীই সীমান্তের কাছাকাছি থাকতে পারবেন না। কিন্তু ঘটনার রাতে ভারতের কম্যান্ডিং অফিসার যখন সীমান্ত পরিদর্শনে যান, তিনি দেখেন, চিনা সেনা তখনও এলাকা ছাড়েনি। বরং একটা তাঁবু খাড়া করেছে। তিনি তাদের তাঁবু সরাতে বলেন, তারা সরাচ্ছিলও, তখনই হঠাৎ তাতে আগুন লেগে যায়। এরপরই শুরু হয় দু’পক্ষের সংঘর্ষ।

৪০ জনেরও বেশি চিনা সেনার সে রাতে মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

১৫ তারিখ রাতে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে গত ৫০ বছরে সব থেকে বড় সংঘর্ষ হয়। ঠিক হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমন করা হবে। কিন্তু সূত্রের খবর, চিন এখনও গোপনে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তাদের ঘাঁটি গড়ে তুলছে। এ ব্যাপারে উপগ্রহের চিত্র প্রকাশ্যে আসায় উত্তেজনা বেড়েছে আরও। জানা গিয়েছে, ভারতীয়দের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে চিনা সেনা এবার মার্শাল আর্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসার কথা ভাবছে।