নয়াদিল্লি: গুজরাতে ছয়টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। প্রাথমিক প্রবণতা অনুযায়ী, রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি তিনটি ও বিরোধী কংগ্রেস তিনটি আসনে এগিয়ে। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে রাধনপুর আসনে প্রার্থী হয়েছেন অল্পেশ ঠাকোর। তিনি ওই আসনে হেরে গিয়েছেন। গত জুলাইতে ২০১৯-এ অল্পেশ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে দল থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এরপর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি তাঁকে রাধনপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী করে।
গুজরাতের বনসকান্ঠা জেলার থরাড, পাটনের রাধনপুর, মেহসানার খেরালু, অরবল্লীর বায়াড,আহমেদাবাদের অমরাইওয়াড়ি ও মহিসাগরের লুনাওয়াড়া আসনে উপনির্বাচন হয়। এদিন সকাল আটটা থেকে ভোটগণনা শুরু হয়। গত সোমবার ভোটগ্রহণ হয়। ৫৩.৬৭ শতাংশ ভোট পড়ে।
রাধনপুর ও বাডাডের দুই কংগ্রেস বিধায়ক অল্পেশ ও ধবল সিংহ জালা ইস্তফা দেওয়ায় এই দুই আসনে উপনির্বাচন হয়। তাঁরা দুজনেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বাকি চার আসনের বিজেপি বিধায়করা লোকসভাতে নির্বাচিত হওয়ায় উপনির্বাচন হয়।
২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোর টক্কর দিয়েছিল কংগ্রেস। বিজেপিকে থামতে হয়েছিল ৯৯ আসনে। কংগ্রেস ৮১ আসনে জয়ী হয়েছিল। বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে এটিই ছিল কংগ্রেসের সবচেয়ে ভালো ফল। কংগ্রেসের এই ফলের পিছনে অল্পেশ সহ যুব নেতাদের ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পরেই অল্পেশের সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বের মতবিরোধ শুরু হয়। শেষপর্যন্ত দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।