কলকাতা: শিক্ষাগুরু বা দীক্ষাগুরুকে শ্রদ্ধা জানানোর বিশেষ দিন গুরুপূর্ণিমা। আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় গুরু পূর্ণিমা। এই বছর আগামী রবিবার, ৫ জুলাই গুরুপূর্ণিমা। এবার ওইদিনই আবার চন্দ্রগ্রহণ।
গুরুই সেই মানুষ যিনি অজ্ঞতা থেকে আলোর পথ দেখান। জীবনে সঠিক দিক নির্ধারণ করেন। ‘গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর গুরুরেব পরম ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নম।' গুরুপ্রণাম মন্ত্রই বলছে গুরু ঈশ্বরের সমান। গুরুর স্থান সকলের উপরে।


জেনে নিন গুরুপূর্ণিমা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
গুরুপূর্ণিমাকে অনেকেই ব্যাসপূর্ণিমা বলে থাকেন। ওই দিনই মহাভারত রচয়িতা কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেবের জন্ম বলে কথিত আছে।
বোধিলাভের পর এইদিনই প্রথম সারনাথে শাক্যমুনি বুদ্ধ প্রথম উপদেশ দেন।


গুরুপূর্ণিমার সময়:
পূর্ণিমা তিথির সূচনা: ৪ জুলাই, সকাল ১১.৩৩টা
পূর্ণিমা শেষ হচ্ছে: ৫ জুলাই, সকাল ১০.১৩ টা


গুরু পূর্ণিমার দিন সকালবেলা অনেকে গঙ্গাস্নান করেন। স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে গুরুপূজা সারা নিয়ম। ফুল, মিষ্টি, দক্ষিণা সহযোগে শ্রদ্ধার্পণ করার রীতি আছে এইদিন। অনেকেই এই দিন বাড়িতে গীতা পাঠ করা শুভ বলে মনে করেন।
জীবনে প্রথম গুরু মা ও বাবা। তাই গুরু পূর্ণিমার দিন সকালে উঠে মা বাবাকে প্রণাম করা নিয়ম।
যাঁদের গুরুদেব নেই বা যাঁরা গুরু দীক্ষা নেননি, তাঁরা শিব বা কৃষ্ণের পুজো করেন। ব্যাসদেবের পুজোও হয় এদিন। গ্রহগুরু বৃহস্পতির প্রতি পুজো অর্পণ করার রীতিও আছে এদিন।