রায়গঞ্জ: মধ্যরাত্রি পেরিয়েছ সবে। শুনশান  রাজপথ। আচমকাই রাস্তায় একদল ভুতের দাপাদাপি। এ-ভূত ভয় দেখায় না। রীতিমতো গান বাজিয়ে নাচানাচিও করে! অবশ্য 'গুপি গাইন, বাঘা বাইন'-এর সৌজন্যে গান-ভালবাসা ভূতেদের সঙ্গে বাঙালির বহুদিনের পরিচয়। করোনা আবহে হঠাৎ ভূতেদের গান-নাচ দেখে চক্অষু চড়কগাছ অনেকেরই। কেউ কেউ ভয়ও পেলেন বোধ হয়।



না। সত্যি ভূত নয়। এরা হল ভূতের সাজে একদল মানুষ। ভয় দেখানোর বদলে তাঁরা বিলি করলেন চকোলেট। তখনই মনে পড়ল হ্যালোউইন ডে এসে গেল বলে। পশ্চিম দেশের সংষ্কৃতি হলেও হ্যালোউইন সেলিব্রেশন এখন এদেশেও অনেকেই করে থাকেন। তারই মধ্যে পড়েন রায়গঞ্জের এই মানুষগুলো। তবে করোনা আবহে রাস্তায় বেশ লোক না থাকায় অতটা হইচইও হল না এই উৎসব ঘিরে।



৩১ অক্টোবর রাত এবং ১ নভেম্বর ভোরের মাঝের সময়টাকেই হ্যালোউইন বলে ধরা হয়। বিশ্বাস, এই সময়ই পরলোক থেকে ইহলোকে ঘুরতে আসে প্রেতাত্মারা।  মনে করা হয়, এই আত্মাদের কেউ কেউ একেবারে নিরীহ, কেউ কেউ আবার বেশ গণ্ডগোলের। এদের ভয় দেখানোর জন্যই সাজা হয় কিম্ভূত পোশাকে। মূলত বাড়ির বাচ্চারাই মজা করে সাজে ভূতের মতোন সাজে। হয় হাউজ-পার্টিও।

পশ্চিমী এই সংষ্কৃতি এখন ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে আমাদের রীতিতেও। এদেশের কচিকাঁচারাও সেজে ওঠে হ্যালোউইন ডে-র সাজে। যেমন করে সেজেছে ইনায়া - সোহা আলি খান, কুণাল খেমুর কন্যা।