লখনউ: হাথরসের ১৯ বছরের মেয়ের যৌন নিগ্রহের জেরে মৃত্যু, তার দেহ পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশের পুলিশের জোর করে রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মেয়েটির পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। তাদের সুবিচার দিতে বলেছিলেন তাঁকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়েটির বাবার সঙ্গে কথা বলে তাঁকে আদিত্যনাথ প্রতিশ্রুতি দিলেন, দোষীদের কঠোরতম সাজা হবে। গণধর্ষিতার পরিবারকে এককালীন ২৫ লক্ষ টাকা, স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এসইউডিএ) আওতায় আবাসন ও পরিবারের একজনের সরকারি চাকরির ব্যবস্থা হবে।
ভিডিও কনফারেন্সে নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, গণধর্ষণ মামলার শুনানি হবে ফাস্ট ট্রাক আদালতে, তিন সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল (সিট) গড়ে তদন্ত চলবে।
এরই মধ্যে আজ সুপ্রিম কোর্টেও একটি পিটিশন পেশ করে আবেদন করা হয়েছে, মামলার তদন্তভার সিবিআই বা সিটকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। তার মাথায় থাকুন সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের একজন বর্তমান বা অবসর নেওয়া বিচারপতি। পিটিশনার মামলাটি উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিতে সরানোর দাবিও করেন।
১৯ বছরের দলিত মেয়েটি গত ১৪ সেপ্টেম্বর চারজনের ধর্ষণের জেরে সঙ্কটজনক অবস্থায় ২ সপ্তাহ লড়াই করে গতকাল দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মারা যায়। গতকাল শেষরাতে তাকে পোড়ানো হয়। তার পরিবারের দাবি, পুলিশ তাদের বাধ্য করেছে রাতের অন্ধকারে তড়িঘড়ি দেহ পুড়িয়ে দিতে। এ খবর ছড়াতেই হাথরস, দিল্লি সহ দেশের নানা শহরে প্রতিবাদ, বিক্ষোভের ঢল নামে।