নয়াদিল্লি: হাথরসের দলিত মেয়ের গণধর্ষণ, মৃত্যু মামলায় মূল অভিযুক্ত সন্দীপ ঠাকুর চাঞ্চল্য় ফেলে দেওয়া দাবি করে হাতে লেখা চিঠি পাঠাল উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে। সে ও মেয়েটি ‘বন্ধু’ ছিল, ফোনে প্রায়ই তাদের কথা হত বলে চিঠিতে জানিয়েছে সন্দীপ। তার দাবি, মেয়েটির পরিবার তাকে ও তার তিন সহযোগীকে ফাঁসাচ্ছে, কারণ তার সঙ্গে বাড়ির মেয়ের সখ্য তারা মেনে নিতে পারেনি। মেয়েটির মা ও ভাই তাকে শারীরিক নিগ্রহ করত বলেও অভিযোগ করেছে সন্দীপ। চিঠিতে তার ও বাকি তিনজন, চার অভিযুক্তেরই আঙুলের ছাপ আছে।
চিঠিতে সন্দীপ লিখেছে, ঘটনার দিন মাঠে ওর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ওর মা, ভাইয়েরাও ওখানে ছিল। ও ফিরে যেতে বলায় আমি আমার বাড়ি ফিরে আসি। তারপর গরুদের খাওয়াতে বসি। পরে গ্রামবাসীদের কাছে শুনি, ওর মা, ভাইয়েরা আমাদের বন্ধুত্বের ব্যাপারে ওকে মারধর করেছে, ও মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। আমি কখনও ওকে মারধর করিনি বা ওর প্রতি অন্যায় করিনি। ওর মা, ভাইয়েরা আমার ও অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের জেলে পাঠিয়েছে। আমরা সকলেই নির্দোষ। বিষয়টা তদন্ত করে আমাদের ন্যয়বিচার দিন। সামনাসামনি দেখা করার পাশাপাশি মেয়েটির সঙ্গে তার ফোনে কথা হত বলেও জানিয়েছে অভিযুক্ত।
ঘটনাচক্রে হিন্দিতে লেখা চিঠিটি বেরল বরাবাঁকির বিজেপি নেতা রঞ্জিত বাহাদুর শ্রীবাস্তব হাথরস গণধর্ষণে অভিযুক্ত চার উচ্চবর্ণ সম্প্রদায়ভুক্ত অভিযুক্তকে ‘নিরপরাধ’ ও দলিত নির্যাতিতাকেই ‘এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ানো মেয়ে’ বলার পরদিন। গত ২ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী অজিত সিং পাল মেয়েটির গণধর্ষণ ও একপক্ষকাল বাদে তার মৃত্যুকে সামান্য ব্যাপার বলেন। মন্ত্রীর দাবি, ডাক্তাররা পরিষ্কার বলেছেন, হাথরসের মেয়েটির ধর্ষণই হয়নি।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশও আগে বলেছিল, কল রেকর্ড ঘেঁটে বেরিয়েছে, মেয়েটির ভাইয়ের সন্দীপের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, গত বছরের অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ১০৪ বার কল হয়েছে তাদের মধ্যে।
যদিও নির্যাতিতার বাবা অভিযুক্তের দাবি উড়িয়ে বলেছেন, আমি মেয়েকে হারিয়েছি। এখন ওরা আমাদের বদনাম করছে। আমরা ভীত নই। যাবতীয় অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা কোনও টাকা বা ক্ষতিপূরণ চাই না, ন্যয়বিচার চাই।
এদিকে সন্দীপের চিঠিটি সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী এজেন্সিকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আলিগড় জেলের পুলিশ সুপার অলোক সিংহ।
প্রসঙ্গত, ১৯ বছরের দলিত মেয়েটির গণধর্ষণে মৃত্যুর অভিযোগের পাশাপাশি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল রাতের অন্ধকারে পরিবারের অমতে তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চাঞ্চল্য়কর দাবি। যদিও উত্তরপ্রদেশ সরকার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে সাফাই দেয়, এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই মেয়েটির পরিবারের সম্মতি ও উপস্থিতিতেই তাকে পোড়ানোর মতো ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ করতে হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে, সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে সিবিআই তদন্তও চেয়েছে।
তাদের ‘বন্ধুত্ব’ মানতে না পেরে হাথরসের নির্যাতিতাকে মেরে ফেলে তার পরিবার! দাবি অভিযুক্তের, তদন্ত চেয়ে চিঠি
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
08 Oct 2020 07:42 PM (IST)
চিঠিতে সন্দীপ লিখেছে, ঘটনার দিন মাঠে ওর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ওর মা, ভাইয়েরাও ওখানে ছিল। ও ফিরে যেতে বলায় আমি আমার বাড়ি ফিরে আসি। তারপর গরুদের খাওয়াতে বসি। পরে গ্রামবাসীদের কাছে শুনি, ওর মা, ভাইয়েরা আমাদের বন্ধুত্বের ব্যাপারে ওকে মারধর করেছে, ও মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। আমি কখনও ওকে মারধর করিনি বা ওর প্রতি অন্যায় করিনি।
NEXT
PREV
আজ ফোকাস-এ (aaj-focus-e) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -