নয়াদিল্লি: হাথরাস মামলার সাক্ষীদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা জানাতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ১৯ বছরের দলিত মেয়ের গণধর্ষণ, মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেছেন, ঘটনাটি ‘মর্মান্তিক’, ‘অস্বাভাবিক’। একটি জনস্বার্থ পিটিশনের শুনানির সময় সর্বোচ্চ আদালত এই ভাষায় ক্ষোভ জানায়। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়, হাথরাসের ঘটনার মামলাটি নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণে ভুল, মিথ্যা ভাষ্য ছড়ানো হচ্ছে, তাই তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে চায় তারা। তখনই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ হাথরাসের ঘটনাটিকে ‘ভয়ঙ্কর’, ‘অভাবিত’বলে মন্তব্য করে জানায়, এই মামলার তদন্ত যাতে মসৃণ ভাবে এগোয়, তা সুনিশ্চিত করবে তারা।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে আদালতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেন, হাথরাস মামলা নিয়ে একের পর এক ভাষ্য় ছড়ানো হচ্ছে, যা বন্ধ করা দরকার। কোনও বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল যাতে কুঅভিসন্ধি পূরণে মিথ্যা, ভুয়ো ব্য়াখ্যা ছড়াতে না পারে, হাথরাস মামলায় সিবিআই তদন্ত তা সুনিশ্চিত করবে।
রাজ্য সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতে বলা হয়, হাথরাস মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে সিবিআই তদন্ত করতে পারে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর দলিত মেয়েটিকে চারজন উচ্চবর্ণের লোক ধর্ষণ করে। ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির হাসপাতালে সে মারা যায়। তড়িঘড়ি গভীর রাতে স্থানীয় পুলিশ তার দেহটি পুড়িয়ে দেওয়ায় নানা প্রশ্ন ওঠে। তাদের জোর করে পুলিশ রাতের অন্ধকারে অন্ত্যোষ্টি করতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করে মেয়েটির পরিবার। স্থানীয় পুলিশ কর্তারা অবশ্য পরিবারের ইচ্ছেতেই শেষকৃত্য হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
হাথরাসের নির্যাতিতার জন্য় সুবিচার ও দোষীদের কঠোর সাজা চেয়ে দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই হাথরাসের ঘটনার সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করে ফরেনসিক ল্যাবরেটরির রিপোর্ট উদ্ধৃত করে ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করেছে তারা।