নয়াদিল্লি: দিল্লিনিবাসী এক ডিজাইনার জ্বালানির দাম রোজ রোজ বৃদ্ধির বিরোধিতা করে পেট্রল, ডিজেলকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসাবে ধরে নির্দিষ্ট মূল্য বেঁধে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। দিল্লি হাইকোর্ট অবশ্য পূজা মহাজন নামে আবেদনকারীর পিটিশন অনুমোদন করেনি।
বুধবার পিটিশনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন ও বিচারপতি ভি কে রাওয়ের নেতৃত্বাধীন দিল্লি হাইকোর্টের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিদিন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক নীতি, পলিসিগত সিদ্ধান্ত, যাতে তারা হস্তক্ষেপে নারাজ। এটা সরকারের আর্থিক নীতির ব্যাপার। এর সঙ্গে বৃহত্তর আর্থিক বিষয়গুলি জড়িত। আদালতের তা থেকে দূরেই থাকা উচিত। সরকার চাইলে ন্যয্য দর বেঁধে দিতে পারে। কিন্তু আমরা তাদের এ ব্যাপারে নির্দেশ দিতে পারি না।
মহাজনের আইনজীবী এ মৈত্রীর মাধ্যমে পেশ করা পিটিশনে এও বলা হয়, এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মহাজনের প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আদালত কেন্দ্রকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলে ১৬ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছে।
মহাজনের অভিযোগ, কেন্দ্র তেল মার্কেটিং কোম্পানিগুলিকে তাদের ‘মর্জিমাফিক’ পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে ‘পরোক্ষ অনুমোদন দিয়েই রেখেছে’। কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের মুখে প্রায় টানা ২২ দিন জ্বালানির দাম সংশোধন না হওয়া থেকে আগাম পরোক্ষ সম্মতি দিয়ে রাখার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
পাশাপাশি মহাজনের এও অভিযোগ, সরকার দেশে জ্বালানির লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামবৃদ্ধির সঙ্গে জুড়ে দিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে, কেননা যখন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কম ছিল, তখন কিন্তু দেশে পেট্রল, ডিজেলের দাম কমেনি।
মহাজন জানান, গত জুলাইয়ে তিনি একই আবেদন জানিয়েছিলেন। যদিও আদালত কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত নিতে বলে সেটি খারিজ করে দেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেন্দ্র সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে এই পিটিশন দিয়েছেন।