কলকাতা: প্রত্যেক মানুষের জীবনে বিবাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি বিবাহিত মানুষই চান তাঁর দাম্পত্য জীবন সুখে-শান্তিতে কাটুক, রোমান্টিসিজম যেন বজায় থাকে। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিয়ের পর কয়েক বছর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম বজায় থাকলেও অনেকের কাছেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বোঝা হতে থাকে। বিয়ে মানে শুধু দুটি মানুষের বন্ধন নয়, দুটি পরিবারের সংস্কৃতি, পরম্পরার বন্ধনও বটে। তাই ছোটখাটো বিষয়ে বাকবিতণ্ডা, ঝগড়া না করে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করুন।


ভুল বোঝাবুঝি যেন না-থাকে

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে বন্ধুত্বের বাধনে বাঁধুন। মনের কথা শেয়ার করুন। আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, স্বামী/স্ত্রীর একসঙ্গে অন্তত এক ঘণ্টা বসে কথা বলুন। এই সময় পরস্পরের কী প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা সেরে নিন। সমস্যার কথা জিজ্ঞাসা করুন এবং সেই ব্যাপারে আপনার মতামত তাঁকে জানান। এটা করলে স্বামী/স্ত্রী একে অপরের অনুভূতিগুলি বুঝতে পারবেন এবং পরস্পরের প্রতি আরও যত্নশীল হতে পারবেন। মনে রাখতে হবে আলোচনা কিন্তু মনের দরজা খুলে দেয়, শুধু স্বামী-স্ত্রীর সমস্যা নয় পরিবারের সমস্যাগুলি মিটিয়ে নিয়ে পারেন। এতে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।

ভুল মনে হলেও কড়া প্রতিক্রিয়া নয়

প্রতিটি সম্পর্কেই ছোটখাটো সমস্যা থাকেই। স্বামীর কথায় স্ত্রীর বা স্ত্রীর কথায় স্বামীর যদি কখনও খারাপ লাগে বা ভুল মনে হয়, তা হলেও দুজনে আলাদা করে কথা বলে নিন। অশান্তি কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। তা যদি না-করেন, বিরূপ কথা মনে পুষে রাখেন তা হলে রাগ বাড়তেই থাকবে, অসন্তোষ জমতে থাকবে। যে কোনও সমস্যা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া উচিত।

পারস্পরিক সম্মান

যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি সম্মান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে সম্পর্কে সম্মানের জায়গা থাকে না, সেই সম্পর্ক দীর্ঘদিন টিঁকতে পারে না। প্রত্যেকটি মানুষ সম্মান চান। স্বামীকে স্ত্রীর এবং স্ত্রীকে স্বামীর সম্মান করা অবশ্য কর্তব্য। যদি সম্মান থাকে তা হলেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হবে।

বিশ্বাসে বন্ধন

সন্দেহ যে কোনও সম্পর্কে ফাটল ধরায়। বিশ্বাস সম্পর্ককে দৃঢ় করে। জীবনসঙ্গীকে বিশ্বাস না-করা, অকারণ সন্দেহ করা,  ভুল হলে তা মেনে না নিয়ে, নিজের জেদ বজায় রাখতে গিয়ে সঙ্গীর কথা না-শোনার প্রবণতা  অনেক  সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়। যদি নিজের সম্পর্কের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা বজায় রাখতে চান, তা হলে সঙ্গীকে অবিশ্বাস করবেন না। জীবনসঙ্গীকে বন্ধু করে তুলুন।

ক্রোধ পরিত্যাগ করুন

রাগ এমন একটি বিষয় যা সম্পর্ককে ক্রমশ দুর্বল করে। আপনি যদি অল্পেই রেগে যান, তা হলে মনে রাখবেন সুস্থ-সফল দাম্পত্যজীবনের জন্য আপনার ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণে রাখা অভ্যাস করুন। কোনও ন্যায্য কারণেও যদি আপনার রাগ হয়, তা হলে তা সংবরণ করুন। সম্পর্কে রাগের কোনও জায়গা নেই। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বসে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান খুঁজুন।