নয়াদিল্লি: কেরলের শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মেয়েদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সুপ্রিম কোর্ট তুলে দেওয়ায় তার প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে কেরল, কর্নাটক ও তামিলনাড়ু সরকারকে নিরাপত্তা কঠোর করতে বলল কেন্দ্র। সোস্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটে নানা ধরনের আপত্তিকর, খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, এমন বার্তা, খবরের দিকে নজর রাখার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাদের অ্যাডভাইসরিতে বলা হয়েছে, আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষায় যাবতীয় প্রয়োজনীয় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে, যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপযু্ক্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদক্ষেপও করতে হবে। পাশাপাশি সব বয়সের মেয়েদের শবরীমালায় ঢোকার পক্ষে সওয়াল করে বেশ কিছু নাগরিক, মহিলা অধিকার আন্দোলনকারী সংগঠন, বাম ও অতিবাম গোষ্ঠীগুলির প্রচারের উল্লেখও করেছে কেন্দ্র। আবার সু্প্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে হিন্দু সংগঠনগুলির বিক্ষোভের উল্লেখও করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আলাদা ভাবা আয়াপ্পা ভক্তরা, হিন্দু গোষ্ঠীগুলি ও কয়েকটি জাতপাত ভিত্তিক সংগঠনও শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ৫০ থেকে ৩০০০ মানুষ এ ধরনের বিক্ষোভে সামিল হচ্ছে।
এর মধ্যেই আজ দুজন মহিলা শবরীমালা মন্দিরে ঢোকার জন্য পুলিশি প্রহরায় পাহাড়ের চূড়োয় পৌঁছন। কিন্তু আয়াপ্পা ভক্তদের বিক্ষোভের মুখে তাঁদের কর্মসূচি বাতিল করে ভয়ে ফিরে আসতে হয়। এঁদের একজন হায়দরাবাদের সাংবাদিক, আরেকজন কোচির সমাজকর্মী। মন্দিরের গর্ভগৃহের ১৮টি পবিত্র ধাপের কয়েক মিটার দূরে ভালিয়া নাদাপ্পান্ধালে তাঁদের পথরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি মন্দিরের প্রধান পুরোহিতও কঠোর অবস্থান নেন, জানিয়ে দেন, ওই দুই মহিলাকে পাহারা দিয়ে গর্ভগৃহে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন পুলিশও তাঁদের বলে, বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠি চালিয়ে তাঁদের মন্দিরের সান্নিধ্যনমে নিয়ে যেতে চায় না তারা। এই অবস্থায় ওই দুজন ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।