নয়াদিল্লি: আজ হিজাব মামলায় (Hijab Row) রায় (Verdict) দিতে চলেছে কর্ণাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ১১ দিনের শুনানির পর রায় স্থগিত রাখার কথা জানায় হাইকোর্ট। অবশেষে আজ এই মামলায় রায় দিতে চলেছে হাইকোর্ট।
আদালতের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যাতে কোনওরকম অশান্তি বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য আজ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত বিক্ষোভ ও বিজয় মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ (Bengaluru Police)। এ প্রসঙ্গে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner) কমল পন্থ (Kamal Pant) জানিয়েছেন, ‘১৫ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত এক সপ্তাহ বেঙ্গালুরুতে সবরকম জমায়েত, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ বা আদালতের রায় উদযাপন করা যাবে না।’
দক্ষিণ কন্নঢ়ের ডিসি (Dakshina Kannada DC) আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। স্কুল-কলেজে সশীরের হাজির হয়ে আজ যে পরীক্ষাগুলি দেওয়ার কথা ছিল পড়ুয়াদের, সেই পরীক্ষাগুলি স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে অনলাইনে যে পরীক্ষাগুলি হওয়ার কথা ছিল, সেই পরীক্ষাগুলি আজ হচ্ছে।
এর আগে অন্তর্বর্তী নির্দেশে কর্ণাটক হাইকোর্ট জানায়, চূড়ান্ত রায় না দেওয়া পর্যন্ত কোনও পড়ুয়াই ধর্মীয় পোশাক পরে স্কুল-কলেজে যেতে পারবেন না। কিন্তু তারপরেও এ বিষয়ে বিতর্ক থামছে না। আদালতে মুসলিম ছাত্রীদের আইনজীবী দাবি করেন, হিজাব ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয়। হিজাব পরা তাঁদের মৌলিক অধিকার। তাই হিজাব পরেই স্কুল-কলেজে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত। তিনি শিক্ষা সংক্রান্ত বিধিনিয়মের ১১ নম্বর ধারা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ওই বিধিনিয়মে বলা হয়েছে, ইউনিফর্ম বদলের এক বছর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে নোটিস দিতে হবে অভিভাবকদের। নিয়ম বলছে, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিফর্ম বদল করতে চাইলে অভিভাবকদের এক বছর আগে নোটিশ দিতে হয়। হিজাব নিষিদ্ধ করতে হলে এক বছর আগে জানানো দরকার।
আজ কর্ণাটক হাইকোর্ট এই মামলার রায় দেওয়ার পর মামলাটি সুপ্রিম কোর্টেও গড়াতে পারে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে কর্ণাটক হাইকোর্ট চূড়ান্ত রায় না দেওয়া পর্যন্ত শুনানি হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।