মহাসভার জাতীয় মুখপাত্র অশোক পান্ডে আজ সাংবাদিকদের বলেন, দেশের বদনাম করতেই মুসলিম, দলিতদের ‘তথাকথিত গণপিটুনি’র ইস্যু তোলা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র উন্মোচন করা উচিত, যাঁরা গণপিটুনির কথা ফলাও করে প্রচার করছেন, তাঁদের শাস্তি চাই। এই মানবাধিকারের ধ্বজাধারী গোষ্ঠীগুলি সংখ্যালঘু ও দলিতদের রক্ষাকর্তা হওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু কাশ্মীর উপত্যকায় হিন্দুরা হামলার টার্গেট হলে বা সন্ত্রাসবাদীর হিন্দুদের রক্ত ঝরালে সবসময় নিশ্চুপ থাকে। এরা দেশকে টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গত ২৩ জুলাই মণি রত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, শ্যাম বেনেগাল, অপর্ণা সেনের মতো চলচ্চিত্র পরিচালকদের পাশাপাশি ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ, গায়িকা শুভা মুদগল, কৌশিক সেন, কঙ্কনা সেনশর্মা সহ ৪৯ জন নানা ক্ষেত্রের কৃতীরা মোদিকে লেখা খোলা চিঠিতে ধর্মীয় পরিচয়ের ইস্যুতে ঘৃণা-বিদ্বেষজাত অপরাধ বৃদ্ধির অভিযোগ তুলে উদ্বেগ জানান, বলেন, জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে আগ্রাসী মেজাজে রামের নামে গণপিটুনি চলছে।
এদিকে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামে আরেকটি সংগঠন রাজ্যব্যাপী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, আরতি-আরাধনা, হনুমান চালিশা পাঠ সহ রাস্তায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আলিগড়ের জেলাশাসক চন্দ্রভূষণ সিংহকে সাসপেন্ড করতে হবে। মঞ্চের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র সিংহ ভাগোরের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করায় চন্দ্রভূষণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তারা। নিষেধাজ্ঞার আদেশ নিয়ে ভাগোর জেলাশাসককে হুমকি দিয়েছিলেন। তাই পুলিশ গত সপ্তাহে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে।