প্রয়োজনে এ নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তবে বলেছেন, যেহেতু বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু আর কোনও উপায় না থাকলে মন্দিরের জন্য অর্ডিন্যান্স জারি করতে হবে। আরএসএস সরকারের ওপর চাপসৃষ্টি করছে না, কারণ আমরা আইন, সংবিধানকে সম্মান করি, আর সেজন্যই দেরি হচ্ছে। আমরা ঐকমত্য চাইছি। আমরা সুপ্রিম কোর্টকেও শ্রদ্ধা করি, হিন্দুদের আবেগের বিষয়টি মাথায় রাখার আবেদন করছি তাদের।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর সর্বোচ্চ আদালত রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক মামলার শুনানি স্থগিত রেখে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ধার্য করে জানায়, একটি যথাযথ বেঞ্চে শুনানি হবে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলে, আমাদের কিছু অগ্রাধিকার আছে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি বা মার্চে, কবে শুনানি হবে, তা সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ ঠিক করবে।
কিন্তু শীর্ষ সঙ্ঘ নেতার বক্তব্য, মন্দিরের মতো এমন সংবেদনশীল ইস্যুকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, এ নিয়ে রায়দানে বিলম্ব হওয়া ভাল নয়। আমরা যেমন শীর্ষ আদালতকে সম্মান করি, তেমনই তাদেরও হিন্দু ভাবাবেগকে শ্রদ্ধা করা উচিত।
অর্ডিন্যান্সের দাবি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে যাঁরা তা চাইছেন, এটা তাঁদের অধিকার বলেও মন্তব্য করেন জোশী। বলেন, সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে সরকার এই পথটাও খতিয়ে দেখুক। যদিও এটা তাদের ওপরই নির্ভর করছে। একইসঙ্গে বলেন, মালিকানা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট না নিলে সরকারের পক্ষেও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে ওঠে।
এদিন সম্মেলনের ফাঁকে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের দেখা হলে দুজনের আলোচনাতেও মন্দির প্রসঙ্গ ওঠে বলে জানান জোশী।