নয়াদিল্লি: অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপূজার অনুষ্ঠান জাতীয় ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, ধর্মীয় ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠুক। বিবৃতি দিয়ে এমনই বললেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। বুধবার রামমন্দিরের শিলান্যাস হওয়ার কথা। তার ২৪ ঘণ্টা আগে প্রিয়ঙ্কার এই বিবৃতি প্রকাশ করেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।


রামমন্দিরের শিলান্যাস ঘিরে অযোধ্যায় সাজ সাজ রব। সোমবার থেকে রামমন্দিরের ভূমিপূজার আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে অযোধ্যায়। দফায় দফায় বৈঠক করছেন উত্তরপ্রদেশের মু্খ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গেরুয়া শিবিরে তৎপরতা তুঙ্গে। রামমন্দির নিয়ে যাবতীয় ফায়দা যাতে বিজেপি একা নিতে না পারে সেজন্য মাঠে নেমে পড়েছে একাধিক বিরোধী দল। শিলান্যাসের আগের দিন এ নিয়ে বিবৃতি দিলেন  প্রিয়ঙ্কা। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘সারল্য, সাহস, সংযম, ত্যাগ ও প্রতিশ্রুতির সমার্থক হলেন দীনবন্ধু রাম। তিনি সকলের সঙ্গে রয়েছেন। রাম, সীতা এবং রামায়ণ ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে গভীর এবং অনিবার্য চিহ্নস্বরূপ। রামায়ণের কাহিনি আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ঐতিহ্যকে আলোকিত করেছে।’

রামের চরিত্রের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে প্রিয়ঙ্কা তাঁর বিবৃতিতে বিখ্যাত কবি মৈথিলি স্মরণ গুপ্ত, মহাপ্রাণ নিরালার অংশও উদ্ধৃত করেছেন।

শিলান্যাসের আগের দিন প্রিয়ঙ্কার এই বিবৃতি কেন? কংগ্রেস সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বৈঠকে উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতারা রামমন্দির নিয়ে সরকারিভাবে কংগ্রেসকে অবস্থান ঘোষণা করার কথা জানিয়েছিলেন। ২০২২-এ উত্তরপ্রদেশে ভোট। রামমন্দিরকে হাতিয়ার করে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপাবে বিজেপি। কংগ্রেস যদি রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে সরকারিভাবে অবস্থান স্পষ্ট না করে, তাহলে বার্তা যেতে পারে যে, কংগ্রেস খুশি নয়। সম্ভবত সে কারণেই রামমন্দির নির্মাণকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন কংগ্রেস নেতা কমলনাথ। সুপ্রিম কোর্ট রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে রায় দেওয়ার পরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি তাকে স্বাগত জানিয়েছিল। একাংশের মতে রামমন্দির-রাজনীতির কিছুটা ফসল ঘরে তুলতে অযোধ্যায় ভূমিপূজার আগে প্রিয়ঙ্কার বিবৃতি মাধ্যমে অবস্থান তুলে ধরল কংগ্রেস।