নয়াদিল্লি: আগামীকাল অযোধ্যা জমি বিতর্কের অন্যতম মামলাকারী ইকবাল আনসারিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাম মন্দিরের ভূমি পুজোয়। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি খুশি। রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় অন্যতম মামলাকারী ছিলেন ইকবাল আনসারির বাবা হাসিম আনসারি৷ পরে ইকবাল মামলাটি লড়েন৷ বুধবারের রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ভূমিপুজো অনুষ্ঠানে থাকার জন্য আমন্ত্রিত ভিভিআইপিদের তালিকায় রয়েছে ইকবালের নাম৷ অযোধ্যা বিতর্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরনোর পর ইকবাল তা মেনে নিয়েছেন৷
জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই সিং জানান, পদ্মশ্রী মহম্মদ শরিফের সঙ্গে ভূমি পুজোর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অযোধ্যা জমি বিতর্কের অন্যতম মামলাকারী ইকবাল আনসারিকেও। সকলের উপস্থিতিতেই অনুষ্ঠান সফল হোক, এটাই আমাদের প্রার্থনা।
ভূমি পুজো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়া রামের ইচ্ছা বলে জানিয়েছেন ইকবাল। তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পত্র পেয়েছি, এটা রামের ইচ্ছাই বলতে হবে। আমি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি। অযোধ্যায় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সম্প্রীতির সঙ্গেই বাস করেন। মন্দির নির্মাণ হওয়ার পর অযোধ্যা অনেক বদলে যাবে। অনেক সুন্দর হয়ে যাবে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে। দেশ-বিদেশ থেকে তীর্থযাত্রীরা আসবেন। ফলে কাজের সুযোগ বাড়বে। এখানকার মানুষ গঙ্গা-যমুনা তহজিব-এ বিশ্বাস করেন। কোনও বিদ্বেষ নেই। আমরা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আর জমি নিয়ে যাবতীয় বিতর্কের তো সুপ্রিম কোর্টেই অবসান হয়েছে৷’ ‘
বুধবার ভূমি পুজোর আগে গৌরী গণেশ পুজো হয়েছে অযোধ্যায়। এদিন সকাল আটটা থেকে পুজো শুরু হয়। পুজোর আয়োজনের তদারকি করেন স্বয়ং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আগামীকাল আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর হাত দিয়েই রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে।
জানা যাচ্ছে, মোদি সকাল ১১টায় অযোধ্যায় পৌঁছবেন৷ ঘণ্টা তিনেক সেখানে থাকবেন৷ প্রথমে হনুমানগরহিতে গিয়ে হনুমান পুজোয় অংশ নেবেন৷ তারপর যাবেন মানস ভবনে, যেখানে রামলালাকে রাখা হয়েছে৷ শেষে অংশ নেবেন রাম জন্মভূমি ভূমিপূজনে।
ইকবাল বলেন, 'রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসাকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি৷ আমি ওঁকে হিন্দুদের পবিত্র বই ‘রামচরিতমানস’ উপহার দেব৷ একটি বস্ত্র দেব, তাতে ভগবান রামের নাম লেখা থাকবে৷'