নয়াদিল্লি: করোনার প্রকোপ ক্রমে বেড়েই চলেছে। মারণ ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য টিকার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশে চলছে গবেষণা। কোথাও প্রতিষেধক আবিষ্কারের প্রচেষ্টা তৃতীয় পর্বে রয়েছে, তো কোথায় আবার মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অধ্যায় চলছে বা সদ্য শেষ হয়েছে। কী অবস্থা সেই সমস্ত গবেষণার? টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে কোন দেশ কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? কবে হাতে আসতে পারে করোনার প্রতিষেধক? দেখে নেওয়া যাক...


রাশিয়া

রুশ বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তাঁরাই প্রথম করোনার টিকা আবিষ্কার করতে চলেছেন। আগামী অগাস্টে করোনার প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাবে বলে দাবি তাঁদের। মস্কো স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ। ১৮ জুন শুরু হয়েছিল ট্রায়াল। স্বেচ্ছাসেবকদরে প্রথম দলটি ১৫ জুলাই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল, ২০ জুলাই দ্বিতীয় দলকেও ছেড়ে দেওয়া হবে।

চিন

চিনের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সিনোভ্যাক বায়োটেক মানবদেহে করোনার প্রতিষেধক পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় পর্বে আছে বলে জানিয়েছে। একমাত্র চিনা বিজ্ঞানীরাই মানবদেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন। আবু ধাবির ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছিল প্রতিষেধক। ২৮ দিনের মধ্যে দুবার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কোভিড ১৯ মোকাবিলায় চারটি ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে চিনে।

ইংল্যান্ড

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষণায় তৈরি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে রয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে ১০৫ জনের ওপর টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে। নভেম্বরে তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা। ৬ হাজার মানুষের ওপর তার প্রয়োগ হবে।

ভারত

ভারতে প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ প্রথম পর্বে রয়েছে। হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক তৈরি করছে এই প্রতিষেধক। অন্য টিকা জাইকভ ডি-র পরীক্ষামূলক প্রয়োগ রয়েছে দ্বিতীয় পর্বে। এই টিকা তৈরি করছে জাইডাস। এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর টিকাগুলি প্রয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের শরীরে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়নি। আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি হয়ে যাবে বলেই দাবি।

আমেরিকা

২৭ জুলাই প্রতিষেধকের চূড়ান্ত পর্ব পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ শুরু করার কথা মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মডার্নার। আমেরিকায় ৮৭ জায়গায় এই পর্ব শুরু হওয়ার কথা। গবেষণা ও প্রতিষেধক তৈরির খরচ জোগাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।

জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া

জার্মান বিজ্ঞানীরা প্রতিষেধক তৈরির দ্বিতীয় পর্যায়ে আছেন। অস্ট্রেলীয় গবেষকেরা রয়েছেন প্রথম পর্যায়ে।