নয়াদিল্লি: লকডাউনের পর থেকেই দেশ-বিদেশে বহু মানুষই ওয়ার্ক ফ্রম হোমে। মোবাইল নেটওয়ার্কের উপর ভরসা করেই কাজ চালাচ্ছেন অনেকে। তাই সুবিধাজনক নেটওয়ার্কে মোবাইল নম্বরটি পোর্ট করতে চাইছেন, কিন্তু এর পদ্ধতি, সময় বা খরচ নিয়ে ধন্দে অনেকেই।


আপনার ফোন নম্বরটি যদি ৯০ দিন বা তার কম পুরনো হয়, তাহলে তা পোর্ট করানো যাবে না

 আপনি কি বর্তমান নম্বরটি ৯০ দিনের বেশি ব্যবহার করছেন? তাহলে অনায়াসেই নম্বরটি আপনি অন্য নেটওয়ার্কে পোর্ট করতে পারবেন। কোনও নতুন নম্বরই ৯০ দিন পেরনোর আগে পোর্ট করা যায় না। আপনি কি পোস্টপেইড কানেকশন ব্যবহার করেন? তাহলে, বর্তমান পরিষেবাপ্রদানকারীর বকেয়া চুকিয়ে দিয়ে, তবেই ফোন নম্বর পোর্ট করতে পারবেন।

জেনে নিন পদ্ধতি


আপনি কি ঠিক করে ফেলেছেন, কোন নেটওয়ার্কে নম্বর পোর্ট করাবেন। তাহলে পয়লা ধাপ হিসেবে আপনাকে ইউনিক পোর্টিং কোড জেনারেট করতে হবে। ১৯০০ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েই আপনি এই কোড পেতে পারেন।

লিখতে হবে:
port<space>mobile number

এই এসএমএসটি পাঠানোর পরই আপনার কাছে ১৯০১ থেকে একটি মেসেজ আসবে। তাতেই থাকবে ইউনিক পোর্টিং কোড।

এর জন্য কী কী নথি লাগবে 

এরপর আপনি যে সার্ভিস প্রোভাইডারের থেকে পরিষেবা নিতে চাইছেন, তাদের আউটলেটে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে ইউনিক পোর্টিং কোড বলতে হবে। নিতে হবে আধার কার্ডটিও। আধার কার্ড আর স্থানীয় ঠিকানা যদি আলাদা হয়, তাহলে বর্তমান ঠিকানার প্রামাণ্য নথি সঙ্গে রাখতে হবে। এরপর আপনার বায়োমেট্রি নেওয়া হবে ও নতুন একটি সিম কার্ড দেওয়া হবে।

সিম সক্রিয় হতে কত সময় লাগবে?

মোটামুটি এক সপ্তাহ সময় হাতে রাখবেন। এরই মধ্যে পোর্টিং-এর মেসেজ আপনি পাবেন। যেদিনের উল্লেখ থাকবে, সেদিনই পুরনো নেটওয়ার্কের সিগন্যাল হঠাৎ চলে যাবে। তখন নতুন সার্ভিস প্রোভাইডারের দেওয়া সিমকার্ড ব্যবহার করবেন। দেখবেন, চালু হয়ে যাবে।