সঙ্কটে লাখো ভারতীয় পড়ুয়া, অনলাইনে ক্লাস করা ছাত্রছাত্রীদের বার করে দিতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

করোনা অতিমারীর জেরে মার্কিন প্রশাসন আইনি-বেআইনি অভিবাসন রুখতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। গত মাসে অনভিবাসী কর্মীদের ওয়ার্ক ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তারা, যুক্তি দিয়েছে, তাঁদের কাজ দিতে গিয়ে মার্কিন নাগরিকদের কর্মসংস্থানে সমস্যা হচ্ছে।

Continues below advertisement
কলকাতা: অনলাইনে ক্লাস করা সব বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের আমেরিকা বার করে দিতে চলেছে। মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট জানিয়ে দিয়েছে এ কথা। এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মার্কিন ইমিগ্রেশনের এই সিদ্ধান্তে কতজন বিদেশি পড়ুয়া সঙ্কটে পড়বেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ছাত্রছাত্রীরা বহু মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্বের প্রধান উৎস, বেশিরভাগ সময় পুরো টিউশন ফি দিয়েই পড়েন তাঁরা। কিন্তু ইমিগ্রেশন দফতর বলেছে, যদি কোনও কলেজ পুরোপুরি অনলাইন শিক্ষা দেয়, তবে তার বিদেশি পড়ুয়াদের ভিসা প্রত্যাহার করা হবে। হয় তাঁরা অন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন অথবা দেশ ছাড়বেন। তা না হলে তাঁদের বাধ্য হয়ে প্রত্যর্পণ করতে হবে। করোনা অতিমারীর মধ্যেই ২০২০-র শীতের সেমিস্টারের জন্য মার্কিন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আবেদনপত্র নেওয়া শুরু করেছে। হাভার্ডের মত বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য তারা অনলাইনে কোর্স ইনস্ট্রাকশন দেবে। এফ-১ ও এম-১ ভিসা হোল্ডারদের ওপর প্রযোজ্য হবে এই ইমিগ্রেশন গাইডলাইন। এই ভিসা মূলত পান তাঁরা, যাঁরা শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক কোর্সের জন্য আমেরিকায় আসেন। ২০১৯-এ মার্কিন বিদেশ দফতর ৩৮৮,৮৩৯টি এফ ভিসা ও ৯,৫১৮ টি এম ভিসা দিয়েছে। তবে যে পড়ুয়ারা কলেজে গিয়ে ক্লাস করেন, তাঁদের ওপর এই নির্দেশের কোনও প্রভাব পড়বে না। যে এফ-১ পড়ুয়ারা আংশিক অনলাইন ক্লাস করেন, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় যদি জানিয়ে দেয়, তাঁদের কোর্স সম্পূর্ণ ডিজিটাল নয়, তবে তাঁরাও প্রভাবিত হবেন না এতে। কিন্তু এম-১ বৃত্তিমূলক বিষয় পড়ুয়া এবং এফ-১ ইংরেজি ভাষার প্রশিক্ষণ নেওয়া পড়ুয়াদের আর অনলাইনে ক্লাস করতে দেওয়া হবে না। করোনা অতিমারীর জেরে মার্কিন প্রশাসন আইনি-বেআইনি অভিবাসন রুখতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। গত মাসে অনভিবাসী কর্মীদের ওয়ার্ক ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তারা, যুক্তি দিয়েছে, তাঁদের কাজ দিতে গিয়ে মার্কিন নাগরিকদের কর্মসংস্থানে সমস্যা হচ্ছে। মেক্সিকো সীমান্ত টপকে যাঁরা আমেরিকায় আশ্রয় চান, করোনা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে তাঁদের আশ্রয় দেওয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola