এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘গ্রহণের সময় সূর্যের দিকে সরাসরি তাকালে পাকাপাকি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে চোখ। তাই খালি চোখে একেবারেই সূর্যগ্রহণ দেখা উচিত নয়। এমনকী, সাধারণ সানগ্লাস, গগলস পরে বা এক্স-রে প্লেট দিয়েও দেখা উচিত নয়। প্রদীপের কালি ফেলা কাচ দিয়েও গ্রহণ দেখা যাবে না। জলে তৈরি হওয়া সূর্যের প্রতিবিম্বের দিকে তাকানো যাবে না। ব্যবহার করা যেতে পারে ঝালাই করার লুকিং গ্লাস। কার্ডবোর্ডে ছোট ছিদ্র করে তার মাধ্যমে সাদা জায়গায় সূর্যের প্রতিবিম্ব তৈরি করে দেখা যেতে পারে। এছাড়াও আয়নাকে ছোট্ট ছিদ্রযূক্ত কালো কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে, এমনভাবে রাখতে হবে যাতে সূর্যের আলো সেই ছিদ্র থেকে প্রতিফলিত হয়ে সামনের দেওয়ালে পড়ে। এবং গ্রহণের প্রতিবিম্ব ফুটে ওঠে। গাছের ছায়াতেও খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা যেতে পারে। মাটিতে গাছের ছায়ার দিকে তাকালে দেখা যাবে সূর্যের একাধিক প্রতিচ্ছবি। সেক্ষেত্রে সূর্যের আলো আসার জন্য গাছের পাতার ফাঁক পিন হোল ক্যামেরার কাজ করে। সূর্যের দিকে তাকানোর জন্য ব্যবহার করা হয় বিশেষ ধরনের ফিল্টার যুক্ত গগলস। সেটা কারও কাছে থাকলে ব্যবহার করতে পারেন।’
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কী ধরনের গ্রহণ হবে, সেটা পৃথিবী ও চাঁদের দূরত্বের উপর নির্ভর করে। চাঁদের কক্ষপথের আকার ডিম্বাকৃতি হওয়ায় পৃথিবীর সঙ্গে দূরত্ব সবসময়ই বদলাতে থাকে। আগামীকাল চাঁদ যে অবস্থানে থাকবে, তাতে সূর্যের চেয়ে এক শতাংশ ছোট মনে হবে। এই মহাজাগতিক ঘটনা বিরল। ফলে আগামীকালের গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির পাবলিক আউটরিচ অ্যান্ড এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান অনিকেত সুলে জানিয়েছেন, ‘ভারতে যদি কালকের সূর্যগ্রহণ দেখা না যায়, তাহলে আরও ২৮ মাস অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ২০২২-এর ২৫ অক্টোবর ভারত থেকে আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে। সেই গ্রহণ দেখা যাবে পশ্চিম ভারত থেকে। তাই কাল সতর্কতা অবলম্বন করেই গ্রহণ দেখা উচিত।’