নয়াদিল্লি: আগামীকাল সূর্যের বলয়গ্রাস গ্রহণ। ঢাকা পড়বে সূর্যের প্রায় ৯৯ শতাংশ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সেজন্যই একে অভিহিত করছেন গভীরতম গ্রহণ বলে। সূর্যের আলোকোজ্জ্বল গোলাকার অংশের সামান্যই দৃশ্যমান হবে এই গ্রহণে। উত্তরের দিকে উঠলে, ততটাই নাকি বেশি বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে বলা হচ্ছে। কলকাতায় ৬৫ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭০ শতাংশ। কলকাতায় গ্রহণ শুরু হবে সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে। গ্রহণের তুঙ্গ মুহূর্ত বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে। শেষ দুপুর ২টো ১৭ মিনিটে।


রাজস্থানের ঘরসানা থেকে শুরু হবে বলয়গ্রাস, শেষ হবে দেহরাদুন পেরিয়ে উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠে। আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে গুজরাতের ভুজ থেকে। আংশিক গ্রহণ শেষ হবে অসমের ডিব্রুগড়ে। ভুজে আংশিক গ্রহণ শুরু হবে সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে। ডিব্রুগড়ে গ্রহণ শেষ হবে দুপুর ২টো ২৯ মিনিটে।

দীর্ঘতম দিন ২১ জুন। কাল ১৩ ঘণ্টা ৩১ মিনিটের দিন। দীর্ঘতম দিনে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ বিরল ঘটনা। এই গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার আরও একটি কারণ এই যে, পরবর্তী সূর্যগ্রহণ ভারত থেকে দেখা যাবে ২ বছর ৪ মাস পর। ২০২২-এর ২৫ অক্টোবর পরবর্তী গ্রহণ। এর পর সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ ২০৩৪ সালে। ভারত ছাড়াও আগামীকালের বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে আফ্রিকা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল, ইউরোপের কিছু অংশ ও অস্ট্রেলিয়ায়। কোনও এক জায়গায় গ্রহণ দেখা যাবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা। ‘রিং অফ ফায়ার’ দেখা যাবে কঙ্গোয়। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সকাল ১০.২৬ মিনিটে কঙ্গোয় দেখা যাবে এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনা।

সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণের আগে নানারকম কুসংস্কার, গুজবের কথা শোনা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। অনেকে বলতে শুরু করে দিয়েছেন, গ্রহণের ফলে করোনা ভাইরাস দূর হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই গুজব। এমনও অনেকে বলছেন, অন্ত:সত্ত্বা মহিলাদের গ্রহণ দেখা উচিত নয়। এছাড়া গ্রহণের সময় তাঁদের সবজি কাটা চলবে না, কাপড় কাটা উচিত নয়, কাপড় সেলাই করা উচিত নয়, শুয়ে থাকা উচিত নয় এবং বাড়ির বাইরে যাওয়া উচিত নয় বলেও অনেকে মতপ্রকাশ করেছেন। আরও বলা হচ্ছে, গ্রহণ চলাকালীন ছুরি, কাঁচি, সূচের মতো ধারালো দ্রব্য স্পর্শ করা উচিত নয়।