নয়াদিল্লি: ২০১৯ এর শিক্ষাবর্ষ থেকেই সাধারণ ক্যাটাগরির আর্থিক দুর্বলতর অংশের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে এবং এজন্য দেশব্যাপী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রায় ২৫ শতাংশ আসন বাড়াবে বলে জানাল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক। মন্ত্রকের অফিসারদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশনের কর্তাব্যক্তিদের বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর।
সাংবাদিকদের জাভরেকর বলেন, ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষ থেকেই সংরক্ষণ কার্যকর হবে। সংরক্ষণের ফলে যাতে তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অংশের জন্য নির্ধারিত চলতি কোটায় কোপ না পড়ে, সেজন্য প্রায় ২৫ শতাংশ আসন বাড়ানো হবে। সারা দেশে প্রায় ৪০০০০ কলেজ, ৯০০ বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সেগুলিতে সুপারনিউমেরারি কোটার ব্যবস্থা থাকবে। তবে কত আসন থাকবে, সংখ্যাটা নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি।
জাভরেকর জানান, এ ব্যাপারে নিয়ম-পদ্ধতি তৈরি হচ্ছে, এক সপ্তাহের মধ্যেই কত আসন বাড়ছে, সংখ্যাটা জানা যাবে। কীভাবে সংরক্ষণ কার্যকর হবে, সেই নিয়মনীতি শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও বলা হবে, যেন তারা তাদের প্রসপেক্টাসে সংরক্ষণের পরিমাণ উল্লেখ করে, সেইমতো পরিকাঠামোগত ব্যবস্থাও নেয়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও জেনারেল কোটায় ভর্তিতে সংরক্ষণ চালু করতে তৈরি বলে জানান তিনি।
গত ৯ জানুয়ারি রাজ্যসভায় চাকরি, শিক্ষায় জেনারেল ক্যাটাগরির গরিবদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে সংবিধান সংশোধন অনুমোদন করা হয়। সরকারের তরফে বলা হয়, এই পদক্ষেপ ‘স্লগ ওভারে ছক্কা’।
বর্তমানে দেশে তফশিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া অংশের (ওবিসি) জন্য যে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ চালু আছে, তার অতিরিক্ত হবে এই সংরক্ষণ।