রাহুল গতকাল মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে গুরুর অসম্মান হিন্দু সংস্কৃতির পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন। বলেন, বিজেপি হিন্দু ধর্মের কথা বলে। হিন্দু ধর্মে গুরুই শেষ কথা, চূড়ান্ত। গুরু-শিষ্য পরম্পরার কথা বলে হিন্দু ধর্ম। মোদির গুরু কে? আডবাণী। আর তাঁকেই কিনা লাথি মেরে বের করে দেওয়া হল! (জুতা মার কে স্টেজ সে উতারা)। এবার প্রবীণ আডবাণীকে গাঁধীনগর থেকে বিজেপির প্রার্থী না করা নিয়েই সম্ভবত মোদিকে খোঁচা দেন রাহুল। পাল্টা বিদেশমন্ত্রী তীব্র আপত্তি জানিয়ে ট্যুইট করেন, রাহুলজী, আডবাণীজী আমাদের পিতা সমান ব্যক্তিত্ব। আপনার কথায় আমরা বিরাট আঘাত পেয়েছি। দয়া করে নিজের ভাষণে কিছুটা রীতিনীতি বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
৪ এপ্রিল প্রকাশিত নিজের ব্লগে আডবাণী লেখেন, বিজেপি কখনই রাজনৈতিক বিরোধীদের দেশবিরোধী, শত্রু বলেনি, প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবেছে। জল্পনা ছড়ায়, তাঁর এই বক্তব্যের নিশানা কি মোদি-অমিত শাহ জুটি? তারপরই রাহুলের ওই মন্তব্য। ২০১৯ এর নির্বাচন ভিন্ন আদর্শের লড়াই, কংগ্রেসের ভ্রাতত্ব, প্রেম-ভালবাসা ও সম্প্রীতির মতাদর্শ মোদির ঘৃণা, বিদ্বেষ, ক্রোধ, বিভেদের আদর্শকে পরাস্ত করে জিতবে বলেও দাবি করেন তিনি।