হায়দরাবাদ: প্রতি বছরই নিলামে ওঠে হায়দরাবাদের অত্যন্ত জনপ্রিয় বালাপুর গণেশ লাড্ডুর। কিন্তু এবারের নিলামে ২১ কেজি এই লাড্ডুর যে দর উঠল, তা সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। রবিবারের  বালাপুর গণেশ লাড্ডু প্রায় ১৯ লক্ষ টাকায় নিলাম হল। সর্বোচ্চ দর উঠল ১৮.৯০ লক্ষ টাকা। 


ব্যবসায়ী মারি শাসন রেড্ডির সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের বিধান পরিষদ সদস্য রমেশ যাদব নিলামে এই লাড্ডু কিনে নিলেন। মারি শাসন রেড্ডি তেলঙ্গানার নাদারগুলের একজন ব্যবসায়ী। 


নিলাম শুরু হয়েছিল ১,১১৬ টাকা থেকে। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে, দাম ততই বেড়েছে। তবে খুব বেশিক্ষণ সময় লাগল না। বালাপুর গণেশ লাড্ডুর নিলামে রেকর্ড দর উঠল। কয়েক হাজার ভক্তদের উচ্ছ্বাস ও করতালির মধ্যে নিলামে লাড্ডু কিনে অন্ধ্রের বিধান পরিষদ সদস্য বললেন, এটা অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডিকে একটা উপহার। 


২০১৯-এর নিলামেও লাড্ডুর বিপুল দর উঠেছিল। সে বছর ১৭.৬০ লক্ষ টাকায় লাড্ডু কিনেছিলেন ব্যবসায়ী তথা কৃষিবিদ কোলানু রাম রেড্ডি। এবারের নিলামেও তিনি উপস্থিত ছিলেন।  নিলাম অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পি সবিতা ইন্দ্র রেড্ডি, প্রাক্তন বিধায়ক টি কৃষ্ণ রেড্ডি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। 
হায়দরাবাদ সংলগ্ন বালাপুর গ্রামের এই লাড্ডুর বার্ষিক নিলামের মাধ্যমেই শুরু হয় গণেশ বিসর্জন শোভাযাত্রার, যা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে পৌঁছয় শহরের প্রাণকেন্দ্রের হুসেন সাগর লেকে। 


বালাপুর লাড্ডুর বার্ষিক এই নিলামের আয়োজন করে বালাপুর গণেশ উৎসব সমিতি। এই সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৯৪-এ প্রথম নিলাম হয়। ওই বছর লাড্ডুর দর উঠেছিল সাড়ে চারশো টাকা। তারপর থেকেই লাড্ডুর জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়েছে। নিলামে এই লাড্ডু জিতলে জীবনে সম্বৃদ্ধি আসে বলে ধারণা রয়েছে। এই ধারণা থেকেই প্রতি বছরের নিলামে যোগ দেন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। 


২০১৮-তে নিলামে এই লাড্ডুর দর উঠেছিল ১৬.৬০ লক্ষ টাকা। গত বছর করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে এই নিলাম হয়নি। 


১৯৯৪-তে প্রথম নিলামে জয়ী কোলানু মোহন রেড্ডি পরপর পাঁচবার সর্বোচ্চ দর হেঁকেছিলেন। এই লাড্ডু কেনার পর তাঁর আর্থিক সম্বৃদ্ধি ঘটেছে বলে দাবি করেন রেড্ডি। তারপর থেকেই এই লাড্ডু জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 
বিজেতারা শুরু এই লাড্ডু পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যেই বিলি করেন না, তাঁরা যা বাকি থাকে, তা কৃষি জমি ও দোকানদানি ও বাড়িতেও ছড়িয়ে থাকেন।