ম্যাঞ্চেস্টার: মাত্র ২ ম্যাচে ৮ উইকেট। বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েই বল হাতে আগুন ছোটাচ্ছেন মহম্মদ শামি। সেই শামি, চোট আর ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যার জন্য যাঁর কেরিয়ারই এক সময় মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিপত্র থেকেও সাময়িকভাবে বাদ পড়েছিলেন।


ঘুরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে নিজেকেই কৃতিত্ব দিতে চান জাতীয় দলের তারকা পেসার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুরন্ত বোলিংয়ের পর শামিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই প্রত্যাবর্তনের জন্য কাকে কৃতিত্ব দেবেন? শামি বলেন, ‘কৃতিত্ব? নিজেকে ছাড়া আর কাকে কৃতিত্ব দেব!’ এরপরই শামি যোগ করেন, ‘যা কিছু ঘটেছে, সব সামলাতে হয়েছে আমাকেই। গত ১৮ মাসে যা হয়েছে, আমি এবং একমাত্র আমি সেটা সামলেছি। তাই কৃতিত্ব দেব নিজেকেই।’

ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মিক্সড জোনে দাঁড়িয়ে শামি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘পারিবারিক সমস্যা থেকে ফিটনেস – সব সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেওয়ার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেব। এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য দেশের হয়ে ভাল খেলা।’

ফিটনেস চর্চায় জোর দিয়েই যে তাঁর প্রত্যাবর্তন, জানিয়ে দিয়েছেন শামি। বলেছেন, ‘শুধু ইয়ো ইয়ো টেস্টে ব্যর্থ হয়েছিলাম বলেই নয়। মাঝে মধ্যে ছন্দও হারিয়ে যায়। আমি ব্যর্থ হয়েছিলাম সেটা আলাদা বিষয়। তবে খুব পরিশ্রম করে ফিটনেসে উন্নতি ঘটিয়েছি। ওজন কমিয়ে শারীরিকভাবেও বেশ ভাল জায়গায় রয়েছি। ছন্দও ফিরে পেয়েছি।’

শামি আরও বলেছেন, ‘এখন ডায়েট মেনে চলার চেষ্টা করি। ট্রেনিংসূচি ধারাবাহিকভাবে মেনে চলি। এখন অনেক বেশি শক্তিশালীও হয়েছি। সহজে ক্লান্ত হই না। বলের গতিও বেড়েছে। আর দক্ষতার দিক থেকে বলি, বিশ্বের যে কোনও পিচে সফল হতে পারি আমি।’

বৃহস্পতিবার ক্রিস গেইলকে ফিরিয়ে দেন শামি। যা নিয়ে বাংলার পেসার বলেছেন, ‘আইপিএলে এক সঙ্গে খেলার সুবাদে ওর ব্যাটিং নিয়ে ধারণা ছিল। জানতাম ওকে হাত খুলে মারার সুযোগ না দিলে মরিয়া হয়ে মারতে গিয়ে আউট হবে।’ প্রথম চার ম্যাচে বাইরে বসতে হওয়ার সময় অনুভূতিটা ঠিক কীরকম হত? শামি বলেছেন, ‘দেখুন, ১৫জন দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়। বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন হলে তবেই ১৫ সদস্যের মধ্যে থাকা যায়, তাই না? মোদ্দা কথা হল ইতিবাচক ও ধৈর্যশীল থাকা। আর বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পারফর্ম করা।’