নয়াদিল্লি: বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধানোয়া ফ্রান্স থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই চিন ও পাকিস্তানের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, যে সময়ে দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী ভারতকে ভয়ঙ্কর নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জে ফেলেছে, তখন বিমানবাহিনীতে যুদ্ধবিমানের ব্যাপক আকাল চলছে। ৩৬টা রাফাল এলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুবিধা হবে বাহিনীর।
আদতে ১২৬টা কেনার কথা হওয়া সত্ত্বেও কেন মাত্র ৩৬টা রাফাল কেনা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। কিন্তু ধানোয়া সরকারের সিদ্ধান্ত সমর্থন করে বলেন, অতীতেও এরকম জরুরি ভিত্তিতে সরঞ্জাম জোগাড় করা হয়েছে। সরকার যখনই মনে করেছে, প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিমান হানার ক্ষমতা মার খেতে পারে, জরুরি ভিত্তিতে বিমান কেনা হয়েছে আন্তঃসরকার বোঝাপড়ায়। ১৯৮৫ সালে ফ্রান্স থেকে মিরাজ ২০০০-এর দুটি স্কোয়াড্রন আনা হয়, তত্কালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে দুটি স্কোয়াড্রন মিগ ২৯-ও কেনা হয়েছিল। এইসব সংগ্রহ হয়েছিল দুটি সরকারের রফার আওতায়। ভারতীয় বায়ুসেনার পুনর্গঠন সংক্রান্ত এক সেমিনারে এ কথা বলেন ধানোয়া।
ধানোয়া বলেন, রাফাল ও এস-৪০০ সরবরাহ করে সরকার আমাদের যুদ্ধবিমান ঘাটতি পুষিয়ে বাহিনীকে শক্তিশালী করছে। প্রসঙ্গত, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমও সংগ্রহ করছে সরকার।

উল্লেখ্য, পূর্বতন ইউপিএ সরকার রাফাল নির্মাতা ফরাসি কোম্পানির সঙ্গে ১২৬টি মিডিয়াম মাল্টি রোল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য বোঝাপড়া প্রক্রিয়া চালালেও তা শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। মোদী সরকার ফ্রান্সের সঙ্গে সরকারি স্তরে চুক্তি করে ২০১৬-র ২৩ সেপ্টেম্বর, যাতে ৫৮০০০ কোটি টাকায় ৩৬টি রাফাল পাবে ভারত। ২০১৯ এর সেপ্টেম্বর থেকে সরবরাহ শুরু হবে।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ডিলে অনিয়ম, দুর্নীতি হয়েছে। ১২৬টা দরকার হলেও মাত্র ৩৬টা রাফাল কেনার জন্য সরকারকে আক্রমণ করছে তারা।
তবে ধানোয়া বলেন, পাকিস্তান ১৯৮৩-তে প্রথম কিস্তির এফ-১৬ যু্দ্ধবিমান পাওয়ার পর ভারত দুটি স্কোয়াড্রন মিগ ২৩ এমএফ যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করেছিল।
বায়ুসেনা প্রধান জানান, ৪২ স্কোয়াড্রনের অনুমোদন পাওয়া গেলেও বাহিনীর হাতে এখন ৩১ স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমান আছে। বলেন, ৪২টা স্কোয়াড্রন পেলেও আমাদের দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মিলিত শক্তির চেয়ে পিছিয়ে থাকব।