কাসারগড়ের কালেক্টর আরও জানিয়েছেন, ‘এ মাসের ৬ তারিখ দুবাই থেকে দেশে ফেরেন এক ব্যক্তি। বিমানবন্দরে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়। এরপর তাঁকে বাড়িতেই আলাদা থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁর স্ত্রী, সন্তান ও মায়ের সঙ্গে মাত্র ২০ মিনিট দেখা হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেই তাঁদের শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়। বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যান তাঁর এক বন্ধু। তিনিও করোনা আক্রান্ত। দুবাই থেকে ফিরে ওই ব্যক্তি শুধু এই চারজনই না, আরও কয়েক হাজার মানুষের সংস্পর্শে আসেন। কারণ, তিনি বাড়িতে না থেকে একাধিক ক্লাব, তিনটি বিয়ের অনুষ্ঠান, কান্নুরে এক ব্যক্তির শেষকৃত্য এবং আরও কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ।’
কেরলের কাসারগড় জেলাতেই করোনা আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি। ২১ তারিখ থেকে গোটা জেলায় লকডাউন জারি করা হয়েছে। কিন্তু কালেক্টর জানিয়েছেন, এই জেলায় ১৩ লক্ষ মানুষ থাকলেও, টেস্ট কিটের অভাবে প্রত্যেকের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মোট কতজন আক্রান্ত, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। কাদের পরীক্ষা করা দরকার, সেটা চিকিৎসকরা বলে দিচ্ছেন। সেই অনুযায়ী পরীক্ষা করা হচ্ছে। কেউ লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায় নামলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাসারগড়ের কালেক্টর। তিনি আরও জানিয়েছেন, কোনওরকম স্বেচ্ছাসেবককেও রাস্তায় থাকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। দরকার হলে সরকার স্বেচ্ছাসেবকদের দল তৈরি করবে।