এবিপি আনন্দ ওয়েব ডেস্ক: মে-তে ফাইনাল। হাতে মাস তিনেকের সময়। তার আগে নিজেদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ভারতের কাছে। বিশ্বকাপে ঠিক কী কম্বিনেশনে নামবে ভারতীয় দল? বিরাট খেলবেন তিনে না চারে? অলরাউন্ডার হিসেবে কারা থাকবে? বোলিংয়েও বা কারা অগ্রাধিকার পাবে? সেই সব পরীক্ষার অন্তিম সুযোগ রয়েছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই। আগামীকাল টি ২০ ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে এই সিরিজ।
ওয়াকিবহাল মহলের চোখে খাতায় কলমে ভারত এই অজি দলের থেকে ঢের এগিয়ে। তার ওপর আবার দেশের মাটিতেই গোটা সিরিজ খেলবে তাঁরা। প্রথমে ২টি টি-টোয়েন্টি তারপর ৫টি ওয়ানডে, সিরিজ চলবে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত। প্রথম ম্যাচ হবে বিশাখাপত্তনমে। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত ১৮টি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। তার মধ্যে ১১টি ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারত। ৬টি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। একটি ম্যাচ অমীমাংসিত। এই পরিসংখ্যান দেখার পর অন্ধ অজি ফ্যানরাও বিশ্বাস করবেন, ভারতে এসে ভারতকে হারানো তাও আবার এই দল নিয়ে, তা কার্যত বামন হয়ে চাঁদ ছোঁয়ারই সামিল। তবে একটা মরণ কামড় যে অ্যারন ফিঞ্চের দল দেওয়ার চেষ্টা করবে, তা অনায়াসেই বলা যায়।
বিশ্বকাপে তাঁদের দলে ফিরবেন স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। এটা অজিদের পক্ষে সুখবর। তবে তার আগে বাকি দলটার হাল-হকিকত কেমন, তা দেখে নিতে চাইছেন কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ভারতে তিনি বাড়তি নজর দিয়েছেন ফিল্ডিংয়ে। মিচেল স্টার্ক চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন। অধিনায়ক হিসেবে ফিঞ্চের রেকর্ডও খুব একটা আশাপ্রদ নয়। এমন অবস্থায় নাথান লিয়ঁ, অ্যাডাম জাম্পা, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ওপরই ভরসা রাখছেন ল্যাঙ্গার। পেস আক্রমণে রয়েছেন প্যাট কামিন্স, কেন রিচার্ডসন, কাউন্টার নাইল। আর ব্যাটে অজিদের ভরসা ওসমান খোয়াজা, হ্যান্ডসকম্ব সহ খোদ অধিনায়ক ফিঞ্চ।
অন্যদিকে, ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগে পাকাপোক্ত হোমওয়ার্ক সেরে নিতে চাইছেন বিরাটরাও। চোটের কারণে গোটা সিরিজেই নেই হার্দিক। বদলি হিসেবে এসেছেন টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট রবীন্দ্র জাদেজা। এর বাইরে মোটের ওপরে দল একই। নিউজিল্যান্ডে বিশ্রাম দেওয়া হলেও এবার বিরাটই দলের নেতৃত্বে।
বিগত বছরগুলোতে দেশের মাটিতে ভারত অপ্রতিরোধ্য। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হার বাদ দিলে, এই সময়ের মধ্যে দেশের মাটিতে আর কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হারেনি মেন ইন ব্লু। এই সিরিজেও যে তাঁরা সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।