নয়াদিল্লি: স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশের ১,৩৮০ জন পুলিশকর্মীকে পদক দেওয়ার কথা ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পদক প্রাপকদের মধ্যে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ মিলিয়ে এরাজ্যের বেশ কয়েকজন আছেন। সাহসিকতা ও কর্মদক্ষতার জন্য তাঁরা সম্মানিত হচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশকর্মী ও আধিকারিক মিলিয়ে যে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে প্রেসিডেন্টস পুলিশ মেডেল ফর গ্যালান্ট্রি, পুলিশ মেডেল ফর গ্যালান্ট্রি, প্রেসিডেন্টস পুলিশ মেডেল ফর ডিসটিঙ্গুইশড সার্ভিসেস, পুলিশ মেডেল ফর মেরিটরিয়াস সার্ভিসেস দেওয়া হচ্ছে। যে ১,৩৮০ জন পুরস্কার পাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৬২৮ জন গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ডস পাচ্ছেন। জম্মু ও কাশ্মীরে বিশেষ সাহসিকতা ও তৎপরতার পরিচয় দেওয়ার জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন ৩৯৮ জন। মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চলে সাহসিকতার পরিচয় দেওয়ার জন্য পদক পাচ্ছেন ১৫৫ জন। উত্তর-পূর্ব ভারতে মোতায়েন থাকা ২৭ জন পুরস্কার পাচ্ছেন।
পদক প্রাপকদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মোট ২০ জন আছেন। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ২৫৬ জন, সিআরপিএফ-এর ১৫১ জন, আইটিবিপি-র ২০ জন। এছাড়া ওড়িশা, মহারাষ্ট্র ও ছত্তীসগঢ় পুলিশের যথাক্রমে ৬৭, ২৫ ও ২০ জন।
আইটিবিপি জওয়ানদের মূলত চিন সীমান্তে মোতায়েন করা হয়। পূর্ব লাদাখে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে মিলে চিনা আগ্রাসন রুখে দেওয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন আইটিবিপি-র ২০ জন। ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে সাফল্য পাওয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন আইটিবিপি-র তিন জওয়ান। ফলে আইটিবিপি-র মোট ২৩ জন পদক পাচ্ছেন। পদক প্রাপকদের মধ্যে গত বছরের ১৫ জুন ভারত-চিন সংঘর্ষের সময় গালওয়ানে মোতায়েন থাকা কয়েকজন জওয়ানও আছেন।
গালওয়ানে ভারত-চিন সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জওয়ান প্রাণ হারান। প্রথমে চিনের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করা হয়নি। তবে পরে জানা যায়, চিনেরও বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গালওয়ানে সংঘর্ষের পর দফায় দফায় ভারত ও চিনের আলোচনা হয়েছে। তবে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা এখনও পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি।