নয়াদিল্লি: রবিবার আরও একটি স্বাধীনতা দিবস। এবার স্বাধীনতার ৭৫ বছর। ফলে এবারের স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য অন্যবারের চেয়ে বেশি। কেন্দ্রীয় সরকার এবারের স্বাধীনতা দিবসকে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ হিসেবে পালন করছে। এ বছরের মার্চে গুজরাতের আমদাবাদের সবরমতী আশ্রম থেকে এই মহোৎসবের সূচনা করেন। ২০২৩-এর ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে এই মহোৎসব।


রবিবার ভোর ৬.২০ মিনিট থেকে লালকেল্লায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। প্রথমে এনসিসি ক্যাডেটরা লালকেল্লায় নির্দিষ্ট জায়গায় চলে আসবেন। এর ১০ মিনিট পর শুরু হবে দেশাত্মবোধক গান। এনসিসি কয়্যার এই অনুষ্ঠানে থাকবে। সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে গার্ড অফ অনার। সকাল ৭টা ১৮ মিনিটে লাহৌর গেটে উপস্থিত হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে স্বাগত জানাবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এছাড়া থাকবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা সচিব। সকাল সাড়ে সাতটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় সঙ্গীতের পর হবে গান স্যালুট। পুষ্পবৃষ্টি করবে বায়ুসেনার দু’টি চপার। সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শেষ হওয়ার পর ফের জাতীয় সঙ্গীত হবে।


এই অনুষ্ঠান সরাসরি দেখা যাবে এবিপি আনন্দের পর্দায়। দূরদর্শনেও সরাসরি সম্প্রচারিত হবে এই অনুষ্ঠান। এবিপি আনন্দের ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুকেও দেখা যাবে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান।


১৯৪৭ থেকে প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এই প্রথা চালু করেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট প্রথমবার লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এরপর যাঁরাই প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তাঁরা এই প্রথা মেনে চলছেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নরেন্দ্র মোদিও লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন এবং ভাষণ দিচ্ছেন। লালকেল্লা ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সৌধ। ব্রিটিশ শাসন বা তার আগেও লালকেল্লার গুরুত্ব ছিল যথেষ্ট। তবে স্বাধীনতার পর থেকে এটি মূলত জাতীয় সৌধ হিসেবেই পরিচিত হয়ে উঠেছে।