নয়াদিল্লি ও কলকাতা: ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে  লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের অংশ নিয়ে বিতর্ক। মাতঙ্গিনী হাজরাকে অসমের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। লালকেল্লায় ভাষণে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান স্মরণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘অসমের মাতঙ্গিনী হাজরা পরাক্রম দেখিয়েছেন স্বাধীনতা সংগ্রামে’।


প্রধানমন্ত্রীর এই বেফাঁস মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।  তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ট্যুইট করে বলেছেন, ‘অসম থেকে এসেছেন মাতঙ্গিনী হাজরা?পাগল হয়েছেন, ইতিহাস জানেন না? আপনার কোনও অনুভূতি নেই? শুধু অন্যের লিখিত ভাষণের উপর ভরসা করেন। আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে, এটা বাংলার পক্ষে অপমানজনক। ওঁদের পূর্ব মেদিনীপুরের গদ্দারও ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিন।’


অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, এ রকম ছোটখাটো ভুলকে বড় করে দেখানোর কিছু নেই। দেশে এমন হাজার হাজার মহাপুরুষ রয়েছেন, যাঁরা দেশের জন্য আত্মবলিদান দিয়েছেন। যাঁরা এখন এ কথা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন, তাঁরা মাতঙ্গিনী হাজরার জন্য কী করছেন?


তৃণমূলের রাজ্যসভা সদস্য শান্তনু সেনও মোদির মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের ভুল বিজেপির কাছে নতুন কিছু নয়। 


রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারনা নেই। মাতঙ্গিনী হাজরা সম্পর্কে না জানলে তা তাঁর ভুল। কিন্তু মাতঙ্গিনী হাজরার মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্থান  মানুষের হৃদয়ে।


লালকেল্লা থেকে ভাষণের শুরুতে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান দেশবাসীকে।  দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানের উল্লেখ করে তাঁদের স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, ঐক্যবদ্ধ দেশ গড়ে তোলার রূপকার সর্দার বল্লভভাই পটেল, দেশকে ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শনকারী বি আর অম্বেডকরের মতো ব্যক্তিদের স্মরণ করছে। দেশ তাঁদের কাছে ঋণী।এই প্রসঙ্গেই মাতঙ্গিনী হাজরার অবদানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।