নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় (UNGA) রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে পড়ল ১৪১টি ভোট। বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচটি। ভোটদান থেকে বিরত থাকে ভারত (India)। এর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদেও (UNSC) রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দেয়নি ভারত। সেবারও ভোটদানে বিরত ছিলেন ভারতের প্রতিনিধি। ফের একই ঘটনা দেখা গেল রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায়। 


রাশিয়ার আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। ক্রমশঃ বাড়ছে প্রাণহানি। মহা বিপদের মুখে ভারতীয় পড়ুয়ারাও। এই যুদ্ধ কবে থামবে কেউ জানে না। যে কোনওভাবেই হোক ইউক্রেন ছেড়ে বেরোতে চান হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন থেকে যাতে ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপদে বের করে আনা যায়, সে ব্যাপারে বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রণকৌশল ঠিক করতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী।


এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরও। বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন, ‘আমি যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষে। একটা কোভিড যুদ্ধ ২ বছরে সব শেষ করে দিয়েছে, আবার একটা যদি যুদ্ধে সব শেষ হয়ে যায়, তার গুণাগার দিতে হবে মানুষকে। আমি মনে করি, ভারতের সেই শক্তি আছে, ভারত লিড করতে পারে, ভারত কথা বলে সবাইকে শান্তির রাস্তায় ফিরিয়ে আনতে পারে।’ 


রাশিয়ার ক্রমাগত হামলার জেরে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। বিশেষ করে খারকিভ কার্যত বিধ্বস্ত। দু’দিন আগেই খারকিভে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণের শিকার হন এক ভারতীয় পড়ুয়া। এই পরিস্থিতিতে খারকিভে থাকা ভারতীয় নাগরিক ও পড়ুয়াদের জন্য ফের একটি অ্যাডভাইজরি জারি করেছে বিদেশমন্ত্রক। তাতে নিরাপত্তার স্বার্থে যত দ্রুত সম্ভব খারকিভ শহর ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে কোনওভাবেই হোক, দ্রুত তাঁদের পৌঁছতে বলা হয়েছে ইউক্রেন সীমান্তবর্তী পেসোচিন, বাবায়ে কিংবা বেজলিউডোভকাতে। গাড়ি বা বাসের ব্যবস্থা না হলে হেঁটেই ওই তিন জায়গায় পৌঁছনোর কথা বলা হয়েছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের অ্যাডভাইজারিতে। খারকিভ শহর ওই তিন জায়গার দূরত্ব কতটা, তাও উল্লেখ করা হয়েছে।


ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে ‘অপারেশন গঙ্গা’ চালু করেছে মোদি সরকার। এর জন্য বায়ুসেনার গ্লোবমাস্টার বিমান ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২ হাজার ভারতীয় ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরেছেন।