নয়াদিল্লি: নিউইর্য়কে প্রস্তাবিত পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের বৈঠক বাতিলের ঘোষণা করল কেন্দ্র। পাকিস্তানের জঙ্গি তোষণ নীতির জেরে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক বাতিলের ঘোষণা করা হল। পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আলোচনা ফের শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যদিও ভারত সাফ জানিয়েছিল,সন্ত্রাসবাদে মদত বন্ধ না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা সম্ভব নয়। তবে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনের অবকাশে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক নিয়ে সম্মতি দিয়েছিল কেন্দ্র। এবার সেই বৈঠক বাতিল করে দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার বলেছেন, পাকিস্তানের কথা ও কাজে প্রচুর ফারাক।



কয়েকদিন আগে বিএসএফ জওয়ান নরেন্দ্র সিংহকে নৃশংসভাবে হত্যার পর জম্মু ও কাশ্মীরের তিন পুলিশ কর্মীকে পাক জঙ্গিদের অপহরণ করে খুনের ঘটনা বৈঠকের উপযুক্ত পরিবেশ নয় বলেই মনে করছে সরকার। সেইসঙ্গে নিহত হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানিকে বীরের মর্যাদা দিয়ে পাকিস্তান ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে। এই সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিউইয়র্কে প্রস্তাবিত বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের অনুমতি নিয়ে মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস নেতা মণীষ তিওয়ারি সাংবাদিক বৈঠকে ডেকে বলেছিলেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিজেপি বলত যে, সন্ত্রাসবাদ ও আলাপ-আলোচনা পাশাপাশি চলতে পারে না। আর এখন জঙ্গি কার্যকলাপ ও ভারতীয় জওয়ানদের ওপর হামলার মধ্যেই নিউইয়র্কে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে। তিওয়ারি আরও অভিযোগ করেন, ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মোদি সরকার দেশকে শুধু ভুলপথে চালিত করেছে।
আম আদমি পার্টি নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো বড় বড় কথা বলতেন, বলতেন প্রেমপত্র লিখলে চলবে না। ওদেরকে ওদের ভাষাতেই জবাব দিতে হবে। তাহলে দিচ্ছেন না কেন? এখন ওদের ভাষাতেই জবাব দিন’।