নয়াদিল্লি: ত্রাসের দেশ আফগানিস্তান থেকে ভারতে ফিরলেন প্রায় ৪০০ জন। রবিবারই ভারতের মাটি ছুঁয়েছে একটি বায়ুসেনার বিমান-সহ মোট চারটি বিমান। রবিবার ভোরে তাজিকিস্তান হয়ে দেশে ফেরানো হয় ৮৭ জনকে। পরে কাবুল থেকে ১৬৮ জনকে নিয়ে দেশে ফেরে বায়ুসেনার বিমান। যাঁদের মধ্যে ১০৭ জন ভারতীয়, বাকিরা অন্যান্য দেশের নাগরিক। এই বিমানেই ভারতে পৌঁছেছেন আফগানিস্তানের দুই সাংসদও। বাকিরা দেশে ফেরেন আরও দু’টি বেসরকারি সংস্থার বিমানে।
‘আফগানিস্তানে আটকে থাকা প্রত্যেক ভারতীয়কে উদ্ধারে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র,’ আশ্বাস কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার।
এদিকে, আফগানিস্তান থেকে দেশে ফেরানো হচ্ছে আরও ১৪৬ জনকে। ইতিমধ্যেই কাবুল থেকে তাঁদের দোহায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে আজই ফেরানো হবে ভারতে, জানানো হয়েছে কাতারের দোহায় ভারতীয় দূতাবাসের তরফে।
উৎকণ্ঠায় আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয়দের পরিবার। এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা আফগানিস্তান থেকে বের হতে পারলেও, পাসপোর্ট সঙ্গে না থাকায় অন্যদেশে আটকে রয়েছেন। ফলে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে তাঁদের পরিবারের।
রবিবার সকালে এয়ারলিফট করে মৃত্যুপুরী থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় কয়েকশো ভারতীয়কে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কার্শিংঙের বাসিন্দা শেখর গুরুঙ্গ। আফগানিস্তানে কোরিয়ার দূতাবাসে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। রবিবার সকালে কাবুল থেকে দিল্লি ফিরেছেন তিনি। কাবুলে আটকে থাকার পর, রবিবার দেশে ফিরেছেন নিমতার তমাল ভট্টাচার্যও।
তমাল-শেখররা ফিরেছেন। কিন্তু বহু ভারতীয়ই এখনও আফগানিস্তানে আটকে! আবার, এমন অনেকে আছেন, যাঁদের কাবুল থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও, এখনও দেশেই ফিরতে পারেননি। তাঁদেরই একজন কার্শিংঙের বাসিন্দা জিতেন মোক্তান। তাঁর স্ত্রী স্বস্তিকা রাই জানিয়েছেন, ‘ও বলছিল, এখানকার পরিস্থিতি খুব খারাপ। কোম্পানি উদ্ধার করে হোটেলে রেখেছিল। হোটেলের বাইরে গুলি চলছে।’
এখনও যাঁরা দেশে ফিরতে পারেননি, তাঁদের অনেকেই পড়েছেন পাসপোর্টের সমস্যায়। অভিযোগ, কাজে যোগ দেওয়ার সময় তাঁদের পাসপোর্ট নিয়ে নেয় নিয়োগকারী সংস্থা। কাবুলের পতনের পরে পাসপোর্ট ফেরত পাননি অনেকেই। ফলে আফগানিস্তান থেকে বেরোতে পারলেও, পাসপোর্ট সঙ্কটের জেরে ভিনদেশেই আটকে থাকতে হচ্ছে অনেককে। নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা সুপ্রিয় ধর এখনও আটকে আছেন কাতারে।