নয়াদিল্লি: দেশে করোনায় সামান্য কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৪৫৭ জন ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৭৫।  


দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯৬৪ জন।  মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ২৮৬ জন।  অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৪০। মোট আক্রান্তের নিরিখে এর হার ১.১২ শতাংশ।   গত ১৫১ দিনে এই পরিসংখ্যান সবচেয়ে কম।


এরইমধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ১৫ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ হাজার ৩৪৭ জন সুস্থ হয়েছেন।  দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে  ৯৭.৫৪ শতাংশ।  ২০২০-র মার্চের পর তা সবচেয়ে বেশি। 


দেশের করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ২০ লক্ষ ছাড়িয়েছিল ২০২০-র ৭ অগাস্ট। ৩০ লক্ষ ছাড়ায় ২৩ অগাস্ট, ৪০ লক্ষে পৌঁছয় ২৮ সেপ্টেম্বর। এই সংখ্যা ৭০ লক্ষ হয় গত বছরের ১১ অক্টোবর। ২৯ অক্টোবর তা ৯০ লক্ষে পৌঁছে যায়। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর এই সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দেশে আক্রান্তর সংখ্যা ২ কোটিতে পৌঁছে যায় গত ৪ মে। এই সংখ্যা তিন কোটি হয় গত ২৩ জুন। 
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ হাজার ৫৭১ জন ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এক দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫৪০।  


দেশে দ্বিতীয় ঢেউ আপাতদৃষ্টিতে নিয়ন্ত্রণে। তবে তৃতীয় ঢেউ-এর আশঙ্কা মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনই অন্যতম পথ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই ভারতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ওপর করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য অনুমতি চেয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন। গত ১৭ অগাস্ট সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের কাছে ওই অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এ মাসেই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া।