নয়াদিল্লি: দেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। পরপর ৪ দিন দেশে দৈনিক আক্রান্ত ৩ লক্ষ পার।একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি।  গত ২৪ ঘণ্টায়  দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৩,৪৯,৬৯১। মৃতের সংখ্যা ২,৭৬৭। সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ২,১৭,১১৩ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ২৬,৮২,৭৫১।


ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা পরপর ৫ দিন ২ হাজার পার করল।  সবমিলিয়ে ভারতে মোট আক্রান্তর সংখ্যা ১,৬৯,৬০,১৭২। মোট সুস্থের সংখ্যা ১,৪০,৮৫,১১০। মোট মৃতের সংখ্যা ১,৯২,৩১১।সরকারের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত টিকাকরণ হয়েছে ১৪,০৯,১৬,৪১৭ জনের।


এর আগের দিন দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৩,৪৬,৭৮৬। গত চার দিনে দেশে নতুন করে  ১৩ লক্ষের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ২১ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত  দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা যথাক্রমে ৩.১৪ লক্ষ, ৩.৩২ লক্ষ, ৩.৪৬ লক্ষ ও ৩.৪৯ লক্ষ। এই পরিসংখ্যান বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে বেশি।


রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫৭ জনের। রাজধানীতে করোনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে এটি একটি রেকর্ড। দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৩,৮৯৮। দিল্লিতে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৯৩,০৮০। এরমধ্যে ৫০,২৮৫ জন বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। বাকি রোগীদের দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।


মহারাষ্ট্রে শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেইসঙ্গে দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ৬৭,১৬০। রাজ্যে মোট আক্রান্তর সংখ্যা ৪২,২৮,৮৩৬। শুক্রবার মুম্বইয়ে নতুন করে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৭,১৯৯। শনিবার এই সংখ্যা কিছুটা কমেছে। শনিবার সন্ধে পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তর সংখ্যা ৫,৮৬৭। মৃতের সংখ্যা ৬৭। শহরে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৬,২২,১৪৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১২,৭২৬ জনের।


 সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ১৪ কোটি ৯ লক্ষ ১৬ হাজার ৪১৭ জনের করোনা টিকাকরণ হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল। টিকার দ্বিতীয় ডোজের অভিযান শুরু হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি। এক এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের বেশি লোকজনকে করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি সবাইকে করোনা টিকা দেওয়া হবে।