নয়াদিল্লি: দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তর সংখ্যা ফের দ্রুত বাড়ছে। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই।  এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হল। আপাতত অ্যাস্ট্রোজেনিকা কোভিশিল্ড করোনা ভ্যাকসিনের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ভ্যাকসিন রফতানি রোখার আরও একটি বড় কারণ হল টিকাকরণের  বাড়তি গতি। ভারতের টিকাকরণের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকাদানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।


ভ্যাকসিনের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়তে পারে


  সম্প্রতি একাধিক রাজ্য বাড়তি পরিমাণে করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ সরকারের কাছে দাবি করেছে। এখন দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ফের করোনা সংক্রমণের গ্রাফে উর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহগুলিতে দেশের মধ্যে ভ্যাকসিনের চাহিদায় বৃদ্ধি ঘটতে পারে।


উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন (হু)-র কোভ্যাক্স পরিকল্পনার আওতায় ভারত এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭৬ দেশে ভ্যাকসিনের ছয় কোটির বেশি ডোজ পাঠিয়েছে। দেশে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ উর্ধ্বদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে।


ভারতে পাঁচ কোটির বেশি টিকাকরণ


মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতে পাঁচ কোটির বেশে মানুষ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণের সুবিধা পেয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য গত ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী টিকাকরণ অভিযানের সূচনা হয়েছিল। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অন্যান্য কোভিড-যোদ্ধাদের টিকাকরণ শুরু হয়। মঙ্গলবার কেন্দ্র ৪৫ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের টিকাকরণের কথা জানিয়েছিল।


ভারতে ফের লাফিয়ে বাড়ছে করোনা-গ্রাফ। ফের ৫০ হাজার ছাড়াল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা আড়াইশোর বেশি। তবে বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা।গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক মৃত্যুতে দেশে প্রথম স্থানে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৬৯২ জনের।  আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫৩৪।