নয়াদিল্লি: দেশে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংযুক্ত হল আরও একটি ভ্যাকসিন। জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র পেল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়া এ কথা জানিয়েছেন।


উল্লেখ্য, কোম্পানি গত ৫ অগাস্ট তাদের সিঙ্গল ডোজ করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদনের জন্য আবেদন জানিয়েছিল। জনসন অ্যান্ড জনসনের এই টিকা পঞ্চম ভ্যাকসিন হিসেবে এ দেশে ছাড়পত্র পেল। এর আগে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন,  স্পুটনিক ভি, মডার্না ভ্যাকসিন ভারতে ছাড়পত্র পেয়েছে। এবার অনুমোদন পেল জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, ভারত নিজের ভ্যাকসিন সম্ভারের বিস্তার ঘটাল! জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ করোনা ভ্যাকসিন আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র পেল। ভারতের কাছে এখন পাঁচটি ইইউএ টিকা রয়েছে। আর এরফলে আমাদের দেশের করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই আরও শক্তিশালী হবে।


সূত্রের খবর, জনসন অ্যান্ড জনসনের এই সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। দুই সপ্তাহের মধ্যেই ওই টিকা এ দেশে পাওয়া যাবে বলে সূত্রের খবর। এই টিকার অনুমোদনে দেশে টিকাকরণ অভিযান আরও ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই ভ্যাকসিনের একটি ডোজই যথেষ্ট। দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োজন নেই। ফলে কম সময়ের মধ্যেই অনেক বেশি মানুষের টিকাকরণ সম্ভব হবে।সেইসঙ্গে জনসন অ্যান্ড জনসনের এই ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকরী বলে দাবি। 


গতমাসেই মার্কিন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছিল যে, তাদের সিঙ্গল ডোজ করোনা ভ্যাকসিনের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভালো সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেখা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য কোম্পানি বায়োলজিক্যাল ই-র সঙ্গে কাজ করছে। নীতি আয়োগ (স্বাস্থ্য) ড. ভিকে পল গত জুলাইতে বলেছিলেন যে, সিঙ্গল ডোজের এই ভ্যাকসিন নিয়ে সরকার আমেরিকার কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে কথা বলছে। আর এই ভ্যাকসিন তৈরি করবে হায়দরাবাদের বায়ো ই।





বিস্তারিত আসছে...