নয়াদিল্লি: ভারতের মাটিতে বসে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তিতে মদত দেওয়ায় নয়াদিল্লির পাক হাইকমিশনের দুই সদস্যকে অবাঞ্ছিত তকমা দিয়ে এই দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলল কেন্দ্রের সরকার। একটি দেশের কূটনৈতিক মিশনের কর্মী হয়ে এমন আচরণ তাদের পদমর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারত সরকার। শনিবার তারা হাতেনাতে ধরা পড়ে বলে খবর। গতকাল তাদের ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হয় ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য।
সরকারি সূত্রে সংবাদ সংস্থাকে জানানো হয়েছে, আবিদ হুসেন ও মহম্মদ তাহির নামে দুজন টাকা দিয়ে এক ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থা, প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, তথ্য সংগ্রহ করার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। জেরায় পাক হাইকমিশনের ভিসা বিভাগে কাজ করা দুজনে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তিতে জড়িত থাকার অপরাধ কবুল করে। গতকাল ধরা পড়ার সময় তাদের কাছ থেকে ভারতীয় মুদ্রা, একটি আইফোন মিলেছে বলে সূত্রের খবর। সূত্রটি বলেছে, ধৃতরা ভারতীয় নাগরিক বলে প্রথমে দাবি করেছিল, এমনকী তার স্বপক্ষে জাল আধার কার্ডও পেশ করে।
পাকিস্তানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে ভারতের তরফে ডিমার্চে দিয়ে তাঁদের নয়াদিল্লির হাইকমিশনের দুই কর্মীর ভারতের নিরাপত্তার পরিপন্থী এহেন চরবৃত্তি সংক্রান্ত কাজকর্মের তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে, দূতাবাসের কোনও সদস্যই ভারতের স্বার্থবিরোধী কিছু করবেন না বা কূটনৈতিক মর্যাদার সঙ্গে বেমানান আচরণ করবেন না, এটা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে পাক চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে।
২০১৯ সালে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করার পর পাকিস্তান সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কার করে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের স্তর নীচে নামিয়ে দেয়।