ওয়াজিদের বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৩। জানা গিয়েছে, গত ৩ দিন ধরে তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন, অবস্থা ছিল গুরুতর। গত বছর ওয়াজিদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন, তারপর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয় তাঁর। এখনও তাঁর পরিবার বা হাসপাতালের কেউ তাঁর মৃত্য়ু নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি। কিডনি সংক্রমণ, হদরোগ না করোনা- ঠিক কীসে তাঁর মৃত্য়ু হল তা স্পষ্ট নয়। সঙ্গীতকার সেলিম মার্চেন্ট এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন, প্রায় ৬ মাস আগে ওয়াজিদের কিডনির সমস্যা হয়, করা হয় কিডনি প্রতিস্থাপন। তারপর থেকে তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছিল। প্রথমে গলায় সংক্রমণ ধরা পড়ে, তারপর করোনাভাইরাস হওয়ার খবর আসে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে করোনা হয় তাঁর।
সেলিম জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়ার পরেও বারবার কিডনিতে সংক্রমণ হচ্ছিল ওয়াজিদের। এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ধরা পড়ে, করোনাও হয়েছে তাঁর।
ওয়াজিদের মৃত্যুতে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ও সোনু নিগম শোক প্রকাশ করেছেন।
দুই ভাই সাজিদ ও ওয়াজিদ ১৯৯৮-এ কাজল-সলমন খান অভিনীত পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া ছবি দিয়ে নিজেদের ফিল্মি কেরিয়ার শুরু করেন। এরপর তাঁরা কাজ করেন সলমনেরই তেরে নাম, মুঝসে শাদি করোগে, পার্টনার, হেলো, গড তুসসি গ্রেট হো, ওয়ান্টেড, বীর, এক থা টাইগার, দাবাং, নো প্রবলেম-এর মত বেশ কিছু ছবিতে। এছাড়া তাঁরা কেয়া ইয়েহি পেয়ার হ্যায়, চোরি চোরি, কাল কিসনে দেখা, জানে কেয়া হোগা, তিমকো না ভুল পায়েঙ্গে-র মত বহু ছবির গানে সুর দিয়েছেন।